Breaking News

সোনার গয়নার ভাগ নিয়ে বিবাদ থেকে পিসি শাশুড়িকে খুন! ট্রলিভরা দেহ নিয়ে লোকাল ট্রেনে কুমোরটুলি আসে মা-মেয়ে

নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতা :- কলকাতার কুমারটুলি ঘাটে মহিলার ট্রলিব্যাগ বন্দি দেহ উদ্ধারের ঘটনায় প্রকাশ্যে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা গিয়েছে সুমিতা ঘোষ নামে ওই মহিলাকে খুন করা হয়েছে মধ্যমগ্রাম স্টেশন লাগোয়া বীরেশপল্লির একটি ভাড়াবাড়িতে। তারপর দেহ ট্রলি ব্যাগে ভরে লোপাট করার উদ্দেশে বাড়ি থেকে বেরোয় অভিযুক্ত ফাল্গুনী গুহ ও তাঁর মা আরতি গুহ। জেরায় ধৃতরা পুলিশকে জানিয়েছে কীভাবে সুমিতাদেবীকে খুন করেছে তারা |প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, মধ্যমগ্রামের বীরেশ পল্লির বাড়িতে পিসি শাশুড়িকে ইট দিয়ে থেঁতলে খুনের পর দেহ লোপাটের চেষ্টা করেছিল মা-মেয়ে। সেই পরিকল্পনা ব্যর্থ হওয়ায় ধরা পড়েছে তারা। কলকাতা পুলিশের হোমিসাইড শাখার তদন্তকারীদের জেরায় বারবার বয়ান বদল করছে ধৃত ফাল্গুনী ঘোষ। তদন্তকারীদের বিভ্রান্ত করার লক্ষ্যে এই কাজ বলে মনে করা হচ্ছে। মঙ্গলবার সকালের ঘটনায় কলকাতা পুলিশ প্রাথমিকভাবে ২ মহিলাকে আটক করে জেরা শুরু করলেও আপাতত মধ্যমগ্রাম থানা এই তদন্তের দায়িত্ব নিয়েছে। খুনের ঘটনা ঘটেছে সেখানেই। জানা যাচ্ছে, মৃতা সুমিতাদেবী পূর্ব বর্ধমানের নাদনঘাটের বাসিন্দা। তবে থাকতেন শিয়ালদহে বোনের বাড়িতে। কয়েকদিন আগে দুপুরে মধ্যমগ্রামে ফাল্গুনী ও তার মা আরতির বাড়িতে আসেন তিনি। জানা যাচ্ছে, সম্পত্তি, গয়নাগাটি নিয়ে দুপক্ষের গোলমাল ছিল। ফাল্গুনীর স্বামী থাকেন অসমে, সেখানে কাজ করেন তিনি। কিন্তু স্বামীর সঙ্গে ফাল্গুনীর সম্পর্ক ভালো নয়। অসমে তাঁদের সম্পত্তি আছে। এছাড়া সুমিতাদেবীর কিছু গয়না সম্ভবত ফাল্গুনীর ব্যাঙ্কের লকারে রাখা। অভিযোগ, তা নিয়ে উভয়ের বাকবিতণ্ডার মাঝে ইট দিয়ে সুমিতাকে মারে ফাল্গুনী। তাতে তাঁর মৃত্যু হয়।এরপর মধ্যমগ্রাম স্টেশন রোডের একটি দোকান থেকে বড় ট্রলি ব্যাগ কেনেন তিনি ও তাঁর মা আরতি ঘোষ। ট্রলিব্যাগে ভরেন সুমিতার দেহ। সেই দেহ ট্যাক্সি করে নিয়ে যান বারাসতের কাজিপাড়া স্টেশনে। সেখান থেকে ট্রেনে করে পৌঁছন পার্ক সার্কাসে। পার্ক সার্কাস থেকে ফের ট্যাক্সি করে পৌঁছয় কুমারটুলি ঘাটে।পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। টুকরো দেহ ইতিমধ্যেই ময়নাতদন্তের জন্য আরজি কর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। প্রাথমিক রিপোর্ট হাতে এলেই কীভাবে খুন করা হয়েছে সবিস্তারে জানা যাবে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *