Breaking News

দেশের প্রত্যেক ভোটারের জন‍্য ‘ইউনিক’ এপিক নম্বর নিশ্চিত করা হবে, ঘোষণা কমিশনের! ৩ মাস সময় নিল জাতীয় নির্বাচন কমিশন

প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :-‘ভূতুড়ে ভোটার’ নিয়ে বিতর্কের মাঝেই বড় আশ্বাস জাতীয় নির্বাচন কমিশনের । জানিয়ে দেওয়া হল, তিন মাসের মধ্যে দীর্ঘদিনের ডুপ্লিকেট এপিক নম্বর ইস্যু সমাধান করবে তারা। যদিও একই এপিক নম্বর থাকলেই ভুয়ো ভোটার নয় বলে আগেই জানিয়েছিল জাতীয় নির্বাচন কমিশন।কমিশনের এই পদক্ষেপকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নৈতিক জয় হিসাবে দেখছে তৃণমূল।‘ভূতুড়ে ভোটার’ নিয়ে গত কয়েক দিন ধরে সরগরম জাতীয় রাজনীতি। অভিযোগ,পাল্টা অভিযোগকে কেন্দ্র করে বিতর্ক চলছে। সেই আবহেই কমিশন জানাল, ‘ডুপ্লিকেট’ এপিক নম্বরের সমস্যা সমাধান করা হবে। ‘ডুপ্লিকেট’ এপিক নম্বরের ভোটারদের ইউনিক এপিক নম্বর দেবে কমিশন। ভবিষ্যতে সকল ভোটারের জন্যই ইউনিক এপিক নম্বর পদ্ধতি চালু করা হবে।একই নম্বরে একাধিক ভোটার রয়েছেন, এমন অভিযোগ প্রথম প্রকাশ্যে আনেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পশ্চিমবঙ্গের ভোটার তালিকায় ভিন্‌ রাজ্যের ভোটারদের নাম ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। অভিযোগের তির ছিল নির্বাচন কমিশন এবং বিজেপির দিকে। মমতা বলেন, ‘‘নির্বাচন কমিশনের আশীর্বাদ নিয়ে দিল্লি, মহারাষ্ট্রের মতো বাংলাতেও ফিল্ড সার্ভে না করে এআরও-র সাহায্যে অপারেটরদের কাজে লাগিয়ে অনলাইনে ভূতুড়ে ভোটারদের নাম তোলা হচ্ছে। বাংলার ভোটারের একই এপিক কার্ডে হরিয়ানা, গুজরাতের লোকের নাম তুলছে!’’এদিকে কমিশন বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানায়, একই এপিক নম্বর হলেও রাজ্য এবং ভৌগলিক অবস্থান অনুযায়ী, ভোটারের ঠিকানা, বিধানসভা কেন্দ্র এবং ভোট কেন্দ্র আলাদা। তবুও, দেখা গেল ডুপ্লিকেট এপিক ইস্যু মেটাতে তিন মাস সময় নিল কমিশন।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *