দেবরীনা মণ্ডল সাহা :- ভিন রাজ্য থেকে একটি নামী সংস্থার জাল লটারির টিকিট নিয়ে এসে মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জ থানা এলাকায় বিক্রি করার চেষ্টার অভিযোগে মঙ্গলবার সকালে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হলেন পাঁচ ব্যক্তি। ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রায় তিন হাজারের বেশি জাল লটারির টিকিট। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত ব্যক্তিদের নাম মোজাহার শেখ, মিনারুল শেখ, আরজু শেখ, মনিরুল শেখ এবং সানিরুল শেখ। তাঁদের বাড়ি রঘুনাথগঞ্জ থানার অন্তর্গত বিভিন্ন গ্রামে। মঙ্গলবার সকালে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ গাড়িঘর সংলগ্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে। পশ্চিমবঙ্গে ডিয়ার লটারি অত্যন্ত জনপ্রিয়। এই সংস্থা রাজ্য সরকারকে যথাযথ রাজস্ব দিয়ে ব্যবসা করে। আর তাদের নাম ব্যবহার করে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ঝাড়খণ্ড এবং অন্য কয়েকটি জেলা থেকে একই নামের জাল লটারি টিকিট এনে বিক্রি করছিল বলে অভিযোগ। এই জাল লটারির টিকিট কিনে সর্বস্বান্ত হচ্ছেন মানুষজন।স্থানীয় সূত্রে খবর, আসল টিকিট অনেকে কেটে ছিলেন। কিন্তু তার নম্বর মিলে গেলে যে অর্থ পুরস্কার বাবদ পাওয়ার কথা সেটা মিলছিল না। জাল টিকিটে কুড়ি থেকে পঁচিশ হাজার টাকার অর্থ প্রথম পুরস্কার। এমন বলা হয়েছিল। তবে সেটা জাল তা বলা হয়নি। আসল টিকিটে পুরস্কার উঠলে ক্রেতা যে কোনও ডিলারের কাছে ওই টিকিট জমা করে পুরস্কারের অর্থ দাবি করতে পারেন। কিন্তু জাল টিকিটের ক্ষেত্রে যে টেবিলে টিকিট কাটেন ক্রেতা তাঁকে সেই টেবিলে গিয়েই পুরস্কারের দাবি জানাতে হয়। যদিও জাল টিকিট বিক্রেতাদেরকে অনেক বেশি কমিশন দেওয়া হয়। জাল টিকিট এখন বিক্রি হচ্ছিল রঘুনাথগঞ্জ, সুতি, সামশেরগঞ্জ থানার নানা এলাকায়।রঘুনাথগঞ্জ থানা সূত্রে খবর, আজ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে গাড়িঘাট সংলগ্ন এলাকায় অভিযান চালানো হয়। তখন ওখানে বসে কিছু যুবক জাল লটারির টিকিট বিক্রি করছিল। তাদের গ্রেফতার করা হয়। ধৃত যুবকদের পুলিশ হেফাজতের আবেদন করে মঙ্গলবার তাদের জঙ্গিপুর আদালতে পেশ করা হয়েছে। জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার সুপার আনন্দ রায় এই বিষয়ে বলেন, ‘জাল লটারির টিকিটের বিরুদ্ধে আমরা জিরো টলারেন্স নীতি নিয়েছি। এই অসাধু কারবারিদের বিরুদ্ধে আমরা সমস্ত থানা এলাকায় নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছি।’
