প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- উত্তপ্ত হয়ে উঠল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকা। যাদবপুর কাণ্ডে ১৪ জন পড়ুয়াকে থানা থেকে তলব করা হয়েছে। সেই ঘটনায় ফের পথে নেমেছে এসএফআই-সহ অন্যান্য বাম ও অতি বাম ছাত্র সংগঠনের কর্মী-সমর্থকরা। নতুন করে কেন পড়ুয়াদের ডাকা হল? সেই বিষয়ে সরব বিক্ষোভকারীরা।এছাড়াও গ্রেপ্তার হওয়া সৌম্যদীপ মোহন্তকে মুক্তির দাবি তোলা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরের পরে যাদবপুর থানার সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা।পড়ুয়াদের যাদবপুর থানার পুলিশ তলব করার পরই বিশ্ববিদ্যালয়ের বামপন্থী ছাত্র-ছাত্রীরা ক্যাম্পাস থেকে মিছিল করে থানা চত্বরে আসেন। তারপর সেখানেই অবস্থান-বিক্ষোভে বসেন। যদিও যে পড়ুয়ারা তলব পেয়েছেন তাঁরা জানিয়েছেন, আইন মেনেই চলতে চান তাঁরা। পুলিশের সঙ্গে পূর্ণ সহযোগিতা করবেন। একই সঙ্গে এও বলেন, এমন অনেকের কাছে পুলিশের চিঠি গেছে যারা যাদবপুরের প্রাক্তনী হলেও কলকাতাতেই থাকেন না। তবে যারা কলকাতাতে আছেন, তারা সকলেই সহযোগিতা করবেন। গত ১ মার্চ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ওয়েবকুপার সভা ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ক্যাম্পাস। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু নিগ্রহের শিকার হন। এদিকে দুই ছাত্রও জখম হন। জখম ছাত্রকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য ভাস্কর গুপ্ত । সেখানে তাঁকে নিগ্রহ করা হয় বলে অভিযোগ। তারপর দীর্ঘদিন তিনি অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ছিলেন। গতকাল তিনি সশরীরে বিশ্ববিদ্যালয় গিয়ে কাজ শুরু করেছেন। এদিকে এখনও বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্দরে অচলাবস্থা কাটেনি। একাধিক দাবিতে নিজেদের অবস্থানে অনড় রয়েছেন বামপন্থী পড়ুয়ারা।এই অবস্থায় জানা গিয়েছে, নতুন করে ১৪ জন পড়ুয়াকে পুলিশ তলব করেছে। আজ মঙ্গলবার ১৪ জনকে যাদবপুর থানায় ডাকা হয়েছে। তাঁরা থানায় পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি রয়েছেন। কেন ওই পড়ুয়াদের ডাকা হল? সেই প্রশ্ন তুলেই রাস্তায় নেমেছেন আন্দোলনকারীরা। মিছিল করে যাদবপুর থানার সামনে গিয়ে বিক্ষোভ চলে। অভিযোগ, যাঁদের ডাকা হয়েছে, তাঁদের অনেকেই ক্যাম্পাসে ছিলেন না। কেউ কেউ বাইরে ছিলেন। তাহলে কেন তাঁদের ডাকা হবে? তাঁদের আরও দাবি, নয়া শিক্ষানীতি প্রত্যাহার করতে হবে |
