প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :-চিকিৎসক সুবর্ণ গোস্বামীর পর চিকিৎসক উৎপল দাঁকেও বদলি করা হল। এর নেপথ্যে রাজনীতি দেখছে ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টরস ফোরাম (ডব্লুবিডিএফ)। তাঁদের অভিযোগ, আরজি কর হাসপাতালের মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় রাজ্য সরকার বিরোধী আন্দোলনে শামিল হওয়ার জন্যই শাস্তির কোপে পড়তে হল এই দুই চিকিৎসককে। এ ব্যাপারে সংগঠনের তরফে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠিও লেখা হয়েছে।এদিকে সরকারি সূত্রে খবর, এই দুই চিকিৎসককে রুটিন বদলির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে সেটা মানতে রাজি নয় ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টরস ফোরাম (ডব্লুবিডিএফ)। এসবের পিছনে রাজনীতি আছে অভিযোগ তুলে তারা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়েছেন। পূর্ব বর্ধমানের ডেপুটি সিএমওএইচ ডা. সুবর্ণ গোস্বামীকে বদলি করা হয়েছে দার্জিলিংয়ের টিবি হাসপাতালে। আর ডায়মন্ডহারবার মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক উৎপল দাঁকে বদলি করা হয়েছে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে। তা নিয়ে ডব্লুবিডিএফের বক্তব্য, ‘ইচ্ছাকৃতভাবে এই দুই চিকিৎসককে অন্যত্র বদলি করা হয়েছে।’ পাল্টা ওই দাবি খারিজ করে দিয়ে প্রোগ্রেসিভ হেলথ অ্যাসোসিয়েশনের দাবি, ‘রুটিন বদলির মধ্যে শাস্তি খোঁজা অর্থহীন।’প্রোগ্রেসিভ হেলথ অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক ডাক্তার করবী বড়াল জানিয়েছেন, ‘‘ট্রান্সফার তো সরকারি চাকরির একটি শর্ত। সরকারি হাসপাতালের সমস্ত চিকিৎসককে কোনও না কোনও সময় বদলি হতে হয়। রাজ্যে পরিবর্তনের পর এখন অনেক হাসপাতাল বেড়েছে, বেড়েছে মেডিক্যাল কলেজের সংখ্যা। প্রত্যন্ত জেলার স্বাস্থ্যকেন্দ্রেও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক রাখার ব্যবস্থা করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই হিসেবে সকলকেই গ্রামে গিয়ে ডিউটি করতে হবে। ট্রান্সফারটাকে কেউ শাস্তি ভাবলে সেটা চূড়ান্ত অনভিপ্রেত।’’
Hindustan TV Bangla Bengali News Portal