দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর ১ ব্লকের বরুই গ্রাম পঞ্চায়েতের পরাশটলা গ্রাম। সেই গ্রামেই জীবিত স্ত্রীর প্রতীকী মুখাগ্নি করলেন স্বামী। সেই সঙ্গে তাঁর শ্রাদ্ধশান্তিও করা হয়। একেবারে পাত পেড়ে গ্রামের লোকজনকে খাওয়ান স্বামী। আসলে ওই ব্যক্তির স্ত্রী প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে গিয়েছেন। হরিশ্চন্দ্রপুর ১ ব্লকের বরুই গ্রাম পঞ্চায়েতের পরাশটলা গ্রামের বাসিন্দা অচিন্ত্য রায়। পেশায় রাজমিস্ত্রি। ১৯ বছরের দাম্পত্য। তবে নিঃসন্তান ছিলেন দম্পতি। একসঙ্গে উনিশটা বসন্ত কাটানোর পর প্রেমিকের হাত ধরে সেই স্ত্রী পালিয়ে যান বলে অভিযোগ। সন্তান না হওয়াকেই ‘অজুহাত’ করে তিনি প্রেমিকের হাত ধরেন বলে স্বামীর দাবি। শুধু একা পালিয়েছেন তা নয়, নিয়ে গিয়েছেন স্বামীর গোটা জীবনের পুঁজি, গয়না থেকে নগদ, সবই। পালিয়ে যাওয়ার পর সেই প্রেমিকের সঙ্গে রিলস বানিয়ে ফেসবুকে স্বামীকে ট্যাগ করেন।এমনকি, স্বামীর হোয়াটসঅ্যাপেও রিলস শেয়ারও করেন। এতেই খেপে যান অচিন্ত্য। নিজের ও পরিবারের সম্মান নষ্ট হয়েছে বলে মনে করেন তিনি। তারই ‘বদলা’ নিতে স্ত্রীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন ওই রাজমিস্ত্রি।স্ত্রীর কুশপুতুল তৈরি করা হয়েছিল। এরপর সেই কুশপুতুল নিয়ে স্বামী গ্রামের লোকজনকে সঙ্গে নিয়ে শ্মশানে যান। এরপর সেখানে মুখাগ্নি করা হয়। এরপর দাহ করা হয়। এরপর স্বামী মাথা নেড়া করেন। ঠিক যদি স্ত্রী মারা যেতেন সেক্ষেত্রে স্বামী যা যা করতেন সেটাই করেন তিনি। সেই অনুসারে পদক্ষেপ নেওয়া হয়। তবে কেবলমাত্র কুশপুতুল দাহ কিংবা মুখাগ্নি করাই নয়, এরপর শ্রাদ্ধশান্তিও করা হয়েছে। গোটা বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, আগামী দিনে যাতে গ্রামে এ ধরনের আর কোনও ঘটনা না ঘটে তাই এই কাজ। পরিবারের এক সদস্য আশালতা রায় জানিয়েছেন, “আমাদের বাড়ির বউ প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে গিয়েছে। তাই আমরা তার সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করলাম। গ্রামে যাতে আর এই ধরনের কোনও ঘটনা না ঘটে তারই বার্তা দিয়েছি।”একেবারে রীতি মেনে সেই শ্রাদ্ধশান্তি করা হয়। সেখানে হাজির ছিলেন স্বামী। সেই শ্রাদ্ধের পরে লোকজনকে খাওয়ানো হয়। ওই স্ত্রী নতুন পোশাক, বিয়ের যাবতীয় গয়না, প্রায় চল্লিশ হাজার টাকা নগদ নিয়ে পালিয়ে যান। আসলে স্ত্রী যে পরকিয়াতে ব্যস্ত সেটা বুঝতে পেরে আগেই বারণ করেছিলেন স্বামী। কিন্তু তারপরেও শোনেননি তিনি। তারপর একেবারে প্রেমিকের হাত ধরে পলায়ন।
Hindustan TV Bangla Bengali News Portal