প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- ‘দয়া করে নেত্রীর অসম্মানের সময় অন্তত মুখ খুলুন’। অক্সফোর্ড আবহে এবার জনপ্রতিনিধি এবং পদাধিকারীদের বার্তা দিলেন তৃণমূল নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য।অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য চলাকালীন বিক্ষোভ দেখিয়েছিল বাম-অতি বাম এবং রাম সমর্থকরা। তা নিয়ে তৃণমূল নেতৃত্বের একাংশ চুপ রয়েছে বলে অভিযোগ করেছিলেন সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার একই সুর শোনা গেল তৃণমূলের আইটি সেলের প্রধান দেবাংশু ভট্টাচার্যের গলাতেও। ফেসবুকে তিনি লিখলেন, ‘জনপ্রতিনিধি এবং পদাধিকারীদের কাছে অনুরোধ, দয়া করে নেত্রীর অসম্মানের সময় অন্তত মুখ খুলুন। লড়াইয়ের সময় পড়ে পড়ে ঘুমোন কেন?’ আর দেবাংশুর আবেদনকে সমর্থন করলেন তৃণমূলের অন্যতম রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষও।দলের একাংশের ভূমিকায় প্রশ্ন তুলে দেবাংশুর প্রশ্ন, ‘দল আপনাকে কঠিন সময়ে দেখেছে, এগিয়ে দিয়েছে। আপনারা কেন যুদ্ধের সময় চুপ থাকেন? আপনারা কেন লড়াইয়ের সময় পড়ে পড়ে ঘুমোন? অসময়ে কোথায় হারিয়ে যান? এলাকায় একটা মিছিল বার করেন না কেন? সোশ্যাল মিডিয়ায় একটা পোষ্ট করেন না কেন? অনুষ্ঠানের সময় তো মঞ্চে ইয়া বড় বড় ফুলের বুকে আর লম্বা লম্বা উত্তরীয় গলায় ঝোলাতে দুবার ভাবেন না! পদের দাবি জানানোর সময় তো গলার জোরে গগন ভেদ করার জোগাড় হয়.. কিন্তু যুদ্ধের সময়? মৌনব্রত? সব ইস্যুতে দল কিংবা মন্ত্রীরা বলে দেবে, তারপর নামতে হবে? প্রতিবার উপর থেকে আসা কর্মসূচির অপেক্ষা করতে হবে? নেত্রীকে অসম্মান করলে গায়ে জ্বালা ধরে না? তখনও নির্দেশ আসার অপেক্ষা করতে হয়? নিজে থেকে একটা মিছিল কিংবা একটা পথসভা করলে কি দল আপনাকে তাড়িয়ে দেবে? পার্টি অফিস গুলোতে যে শতশত চামচাদের নিয়ে বসে থাকেন, যাদেরকে দিয়ে শুধুমাত্র নিজের সঙ্গে সেলফি কিংবা আপনার ড্রেন উদ্বোধনের ছবি পোষ্ট করান, এসব ইস্যুতে তাদের দিয়ে একটা করে ফেসবুক, টুইটারে পোষ্ট তো করাতে পারেন অন্তত! পারেন না?’দেবাংশুর এই মন্তব্যকে সমর্থন করেন কুণাল ঘোষ। সাংবাদিক সম্মেলনে তৃণমূলের অন্যতম রাজ্য সম্পাদক বলেন, “দেবাংশু তৃণমূলের নতুন প্রজন্মের অত্যন্ত দায়িত্বশীল প্রতিনিধি। দলের দায়িত্বশীল কর্মী হিসেবে ও যা বলেছে আমি তাকে পূর্ণ সমর্থন করছি। লন্ডনে রাম-বামেদের বিক্ষোভ ফ্লপ শো ছিল। কিন্তু ষড়যন্ত্রমূলক ছিল তাঁদের উদ্দেশ্য। তাই এটা নিয়ে প্রতিবাদ হওয়া উচিৎ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তো বলেছেন দলীয় ইস্যুতে সোশাল মিডিয়ায় সরব হতে। এক্ষেত্রেও সেটাই বলেছে দেবাংশু।” তবে একা দেবাংশু নন, বিষয়টি নিয়ে আগে সরব হয়েছিলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
