নিজস্ব সংবাদদাতা,কলকাতা :- কসবায় ডিআই অফিসে চাকরিহারা শিক্ষকদের অভিযান এবং গন্ডগোলের ঘটনায় বহিরাগতরা জড়িত বলে অভিযোগ তুলল কলকাতা পুলিশ৷ এ দিন কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা নিজেই এই দাবি করেছেন৷ কলকাতার নগরপালের দাবি, গত বুধবার কসবার ওই ঘটনায় চাকরিহারা শিক্ষকদের সঙ্গে ভিড়ে মিশে ছিলেন বেশ কিছু বহিরাগত৷ তদন্তে সেই বহিরাগতদের চিহ্নিতও করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন নগরপাল৷ তদন্তের স্বার্থেই সেই বহিরাগতদের নাম প্রকাশ করা হচ্ছে না বলে দাবি করেছেন মনোজ ভার্মা৷বুধবার চাকরির দাবিতে কসবার ডিআই অফিসে ভিড় জমান চাকরিহারারা। কিন্তু আগে থেকেই অফিসের গেটে তালা লাগানো ছিল। বাইরে ছিল কড়া পুলিশি নিরাপত্তা, ছিল ব্যারিকেডও। পুলিশের তরফে দাবি করা হয়েছে, চাকরিহারারা সেই ব্যারিকেড সরিয়ে, গেট টপকানোর চেষ্টা করেন, তালাও ভাঙেন। এই সময়ে কোনও পুলিশ তাঁদের ওপর বলপ্রয়োগ করেননি। কিন্তু ধীরে ধীরে চাকরিহারারা পুলিশের ওপরই আক্রমণ করা শুরু করেন। হেনস্থা করা হয় একাধিক অফিসারকে, তাঁদের মধ্যে মহিলা অফিসারও ছিলেন। তখনই পাল্টা বলপ্রয়োগ করতে বাধ্য হয় পুলিশ |শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠকে একাধিক ভিডিও দেখান জয়েন্ট কমিশনার অফ পুলিশ রূপেশ কুমার। তা দেখিয়ে বলা হয়, বারংবার শিক্ষকদের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ দেখানোর জন্য আর্জি জানানো হয়েছিল। কিন্তু তাঁদের একাংশ ভাঙচুরের চেষ্টা করেন। শুধু তাই নয়, পেট্রোল দিয়ে জ্বালানোর কথাও বলা হয়। গার্ডরেল, মেন গেট টপকানোর পরও পুলিশ চাকরিহারাদের ওপর বলপ্রয়োগ করেনি। কিন্তু ভিতরে ঢুকে তাঁরা ওপরে উঠতে যাচ্ছিলেন পুলিশকে হেনস্থা করে। সেই সময়ই বাধ্য হয় পুলিশ লাঠিচার্জ করতে, সেটাও আত্মরক্ষার স্বার্থে। পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা জানিয়েছেন, এই ঘটনায় ১৩ জন পুলিশকর্মী আহত হয়েছেন। এছাড়া তাঁরা বেশ কয়েকজনকে চিহ্নিত করেছেন যারা চাকরিহারা শিক্ষক বা শিক্ষাকর্মী নন। অর্থাৎ বাইরের লোক ঢুকেছিলেন ওই জমায়েতে। যদিও সাংবাদিক বৈঠকে কারও নাম বলতে চাননি কমিশনার। তাঁর বক্তব্য, তদন্ত চলছে। ঠিক সময়ে তাঁদের নাম প্রকাশ্যে আনা হবে এবং গ্রেফতারও করা হতে পারে।
