দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- দু’বছর আগে শিক্ষক বদলি সংক্রান্ত একটি নির্দেশিকা জারি করেছিল রাজ্য। আপাতত সেই নির্দেশ প্রত্যাহার করে নিল শিক্ষা দফতর। যার অর্থ সংশ্লিষ্ট বদলি প্রক্রিয়া আপাতত স্থগিত করা হল।শিক্ষকদের বদলি নিয়ে বারবার হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। বদলিতে স্বচ্ছতা আনতে গত ২০২৩ সালে ‘সারপ্লাস ট্রান্সফার’ চালু হয়। এই পদ্ধতিতে আপাতত বদলি স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে। তার ফলে চলতি বছর যাঁদের বদলির সম্ভাবনা ছিল, তা স্থগিত হয়ে গেল। আবার যাঁদের বাড়ির কাছাকাছি স্কুলে বদলি হয়ে আসার কথা ছিল, তা-ও ভেস্তে গেল।২০১৬ সালের এসএসসির নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। ওই মামলায় গত ৩ এপ্রিল আস্ত প্যানেল বাতিল করেছে সুপ্রিমকোর্ট । চাকরিহারা হয়েছেন প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী। আদালতের রায় বেরানোর পর থেকেই চাকরিহারাদের সিংহভাগই স্কুলে যাচ্ছেন না। অনেকের মতে, পরিবর্তিত পরিস্থিতির কারণেই বদলি সংক্রান্ত ওই নির্দেশে প্রত্যাহার করা হল। কোথাও প্রয়োজনের তুলনায় বেশি শিক্ষক, শিক্ষিকা। আবার কোথাও শিক্ষক, শিক্ষিকার অভাবে ধুঁকছে স্কুলের পঠনপাঠন। এমন পরিস্থিতির বদল ঘটিয়ে ছাত্র-শিক্ষক অনুপাত ঠিক রাখতে ২০২৩ সালে রাজ্য স্কুল শিক্ষা দফতর একটি বিশেষ বদলির অর্ডার জারি করেছিল। গত ১১ এপ্রিল নতুন বিজ্ঞপ্তি জারি করে পুরনো নির্দেশিকা বাতিলের কথা জানানো হয়েছে। ইতিমধ্যে শিক্ষা দফতরের ওই নির্দেশিকা প্রতিটি স্কুলে পৌঁছেও গেছে। হঠাৎ কেন এই বিজ্ঞপ্তি? কেনই বা আগের নির্দেশ প্রত্যাহার করা হল?স্কুল শিক্ষা দফতরের এক কর্তা বলেন, “২৬ হাজার চাকরি বাতিলের জেরে এমনিতেই বহু স্কুলের পঠনপাঠন সমস্যার মধ্যে পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে শিক্ষক বদলি নিয়ে নতুন করে কোনও আইনি জটিলতায় জড়াতে চায় না রাজ্য। তাই পরিস্থিতি ঠিক না হওয়া পর্যন্ত কোনও বদলি প্রক্রিয়া চালু করা হবে না।”
