প্রসেনজিৎ ধর:- বাতিল হয়ে গেল ২০১৬ সালের এসএসসি-র পুরো প্যানেল। বাতিল হল ২৫,৭৫২ জনের চাকরি। চাকরি থাকল একমাত্র ক্যানসার আক্রান্ত সোমা দাসের। এদিন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এবং বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চ জানিয়ে দিল, ২০১৬ সালের পুরো প্যানেলই বাতিল করা হল। অর্থাৎ কলকাতা হাইকোর্ট যে রায় দিয়েছিল তাই বহাল রাখল সর্বোচ্চ আদালত। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, যাঁরা অন্য সরকারি চাকরি ছেড়ে ২০১৬ সালের এসএসসির মাধ্যমে স্কুলের চাকরিতে যোগদান করেছিলেন, তাঁরা চাইলে পুরনো কর্মস্থলে ফিরে যেতে পারবেন।বৃহস্পতিবার শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার পর্যবেক্ষণ, কলকাতা হাইকোর্টের রায়ই ঠিক। গোটা নিয়োগ প্রক্রিয়াই অস্বচ্ছ। বড় মাপের দুর্নীতি হয়েছে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “গোটা নিয়োগ প্রক্রিয়া ভুলে ভরা। তাই কলকাতা হাই কোর্টের রায়ে হস্তক্ষেপে করা উচিত নয়। দাগি চাকরিরতদের চাকরি যাওয়াই উচিত।” নতুন করে নিয়োগ পক্রিয়া করতে হবে। জানিয়েদিল সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। তিন মাসের মধ্যে ফের নতুন নিয়োগ করতে হবে। এমনটাই আজ রায় দিল প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খন্না এবং বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চ। ২০১৬ সালের এসএসসি-র শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। কলকাতা হাইকোর্ট সেই সংক্রান্ত শুনানির পর ২০১৬ সালের সম্পূর্ণ নিয়োগ প্রক্রিয়াই বাতিল করে দিয়েছিল। এর ফলে ২৫,৭৫৩ জনের চাকরি যায়। পশ্চিমবঙ্গ সরকার সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল। ফেব্রুয়ারি মাসের ১০ তারিখ এই মামলার শেষ শুনানি হয়েছিল। তারপর আজ রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট।এই রায়ের পর বিজেপি নেতা শমিক ভট্টাচার্য জানান, ‘আদালতের এই রায়ের পর এবার পশ্চিমবঙ্গের যে অবস্থা তৈরি হবে। কতগুলি পরিবার চূড়ান্ত ধ্বংসের দিকে এগিয়ে যাবে। তার জন্য দায়ী কে? একমাত্র দায়ী তৃণমূল কংগ্রেস। আমরা প্রথম থেকেই বলছি যাদের যোগ্য তাঁদের চাকরি থাক এবং অযোগ্যদের চাকরি যাক।’
Hindustan TV Bangla Bengali News Portal