দেবরীনা মণ্ডল সাহা :- সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে এক ধাক্কায় চাকরি বাতিল হয়েছে ২৬ হাজার শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মীদের। ২০১৬ সালের এসএসসির গোটা প্যানেল বাতিল করেছে আদালত।এরপরই দুপুরে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, মুখ্যসচিব মনোজ পন্থদের নিয়ে তড়িঘড়ি বৈঠক সারলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় |শীর্ষ আদালতের রায়কে সম্মান জানিয়েও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিলেন, শীর্ষ আদালতের চাকরি বাতিলের নির্দেশ তিনি মেনে নিতে পারছেন না। মানবিকতার স্বার্থে এই রায় মানতে পারছেন না বলার পাশাপাশি স্কুলগুলির ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন নবান্ন থেকে সাংবাদিক বৈঠক করে এই চাকরি বাতিলের নেপথ্য কারিগর যে বিজেপি–সিপিএম তা তুলে ধরেন তিনি। এমনকী বাংলাকে শিক্ষায় পঙ্গু করে দিতেই এটা একটা কৌশল বলে তিনি মনে করেন। তাই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিচার ব্যবস্থাকে সম্মান করি। তবে এই রায় মেনে নিতে পারছি না। আমরাও রেকর্ড খুঁজে বের করব, ২০১৬ তে কারা কারা মন্ত্রী ছিলেন। কোনও একটা জেলা তো আমি জানি, কীভাবে চাকরি হয়েছে। তবে আমাদের কাছে কোনও রেকর্ড নেই। কারও কাছে থাকলে দেবেন। কলকাতা হাইকোর্টে প্রথম এই ভার্ডিক্ট যিনি দিয়েছিলেন, তিনি এখন বিজেপির এমপি হয়েছেন। আমি বিশ্বাস করি এটা বিজেপি–সিপিএম করিয়েছে।’এদিন সুপ্রিম কোর্টের রায়ে, নতুন করে এই বাতিল পদে চাকরির ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তার জন্য তিন মাস সময় দেওয়া হয়েছে। নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘তিন মাসের মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়ার শুরুর নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। ওরা বলেছে তিন মাসের মধ্যে প্রসেস করতে, আমরা তা করে দেব। শিক্ষামন্ত্রীকে ইতিমধ্যে বলেছি, এসএসসিকে আমাদের ভাবনা জানাতে। এসএসসি স্বশাসিত সংস্থা। ওরা যেমন ভাল বুঝবে, নিজেদের মতো করে করবে। তবে আমরা চাই এটা তাড়াতাড়ি হয়ে যাক।’আগামী ৭ তারিখ নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে মিটিং করতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী, মুখ্যসচিব ও আইনজীবীরা থাকবেন। তিনি বলেন, “ধৈর্য হারাবেন না, মানসিক চাপ নেবেন না। আপনারা আবেদন করতে পারবেন। আমরা পাশে আছি।”তিনি বলেন, ”বঞ্চিত শিক্ষকরা একটি অ্যাসোসিয়েশন তৈরি করেছেন। তারা শিক্ষামন্ত্রীর কাছে আবেদন জানিয়ে বলেছিল, সবাই একত্রিত হতে চায়। সেখানে শিক্ষামন্ত্রী-সহ আমি ও মুখ্যসচিব ও আইনজীবীরা থাকলে খুশী হবেন। তাতে সাড়া দিয়ে আগামী ৭ তারিখ নেতাজি ইন্ডোরে দেখা করতে যাব। কথা বলতে তো কোনও অসুবিধা নেই।” সঙ্গে তিনি চাকরিহারাদের চিন্তা করতে বারণ করেছেন।
