প্রসেনজিৎ ধর :- নদিয়ার চাপরা থানার অন্তর্গত সীমানগর বিএসএফ ক্যাম্পের কাছে ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনা ঘটল। আর তার জেরে বাদ গেল দুই ব্যক্তির একটি করে দুটি হাত। এই ঘটনায় রীতিমতো আলোড়ন ছড়িয়ে পড়ল। যে দু’জনের হাত বাদ গিয়েছে তাঁদের নাম অসিত দাস (৫০)। যিনি পেশাই ঘটক। আর একজন সনাতন হালদার (৬৫)। তিনি পেশায় মাছ ব্যবসায়ী। বাসের জানালার বাইরে হাত বের করে বসেন এই দুই যাত্রী। হঠাৎই ওই বাসের গা ঘেঁষে চলে যায় অন্য একটি বাস। তার জেরেই এক যাত্রীর হাত কনুই থেকে কেটে পড়ে রাস্তায়। অন্য যাত্রীর হাত কনুই থেকে ঝুলে পড়ে।বুধবার কৃষ্ণনগর থেকে করিমপুরের দিকে যাচ্ছিল দুটি বাস। কে আগে যাবে, তাই নিয়ে দুই বাসচালক রেষারেষি করছিলেন বলে অভিযোগ। একটি বাসের জানলার বাইরে কিছুটা হাত বার করে রেখেছিলেন দুই ব্যক্তি। সীমানগর বিএসএফ ক্যাম্পের কাছে ওই বাসটি যাত্রী নেওয়ার জন্য রাস্তায় দাড়িয়েছিল। সেসময় অন্য একটি বাস দ্রুতগতিতে ওই বাসটিকে ওভারটেক করে। আর তাতেই ঘটে ভয়াবহ দুর্ঘটনা।ওই বাসের যাত্রী ছিলেন অসিত দাস ও সনাতন হালদার। তাঁরা দুজনেই বাসের জানলার বাইরে হাতের কিছু অংশ বার করে রেখেছিলেন। ওভারটেক করার সময় তাঁদের হাতগুলি ঘষে যায় ওই বাসটি। নিমেষে এক যাত্রীর ডান হাত শরীর থেকে আলাদা হয়ে রাস্তায় খসে পড়ে। অন্যজনের ডান হাতের অংশ শরীর থেকে প্রায় খুলে যাওয়া অবস্থায় ঝুলতে থাকে। দুর্ঘটনার পর ওই ঘাতক গাড়িটি না থেমে দ্রুতগতিতে চলে যায়।এদিকে দুই যাত্রীর এই অবস্থা দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন অন্যান্যরা। যাত্রীদের কথায়, শেষপর্যন্ত জখমদের নিয়ে চালক বাস চালিয়ে কৃষ্ণনগর শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে পৌঁছন। যাত্রীদের জোরালো দাবিতে ওই দুই ব্যক্তির দ্রুত চিকিৎসা শুরু হয়। কিন্তু কাটা হাত জোড়া লাগানো সম্ভব হয়নি। দুই ব্যক্তিরও হাত শরীর থেকে বাদ হয়েছে বলে খবর। অসিত দাসের বাড়ি ডোমপুকুর এলাকায়। অন্যজন থাকেন শোনপুকুরে। তাঁদের বাড়িতেও খবর পাঠানো হয়। জখম একজনের শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে কলকাতার হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
