প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- শর্তসাপেক্ষে হাওড়ায় রামনবমীর মিছিলে অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট। শুক্রবার হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর জানিয়েছেন, যে যে শর্ত দেওয়া হচ্ছে, সেগুলি মেনে রামনবমীর মিছিল করতে পারবে অঞ্জনী পুত্র সেনা এবং বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। তবে ধাতু দিয়ে তৈরি কোনও অস্ত্র নিয়ে আসা যাবে না মিছিলে। সেইসঙ্গে কোন সংগঠন কতক্ষণ মিছিল করতে পারবে, তাতে কতজন অংশগ্রহণ করতে পারবেন, তা একেবারে বেঁধে দিয়েছে হাইকোর্ট। রামনবমী ঘিরে রাজ্যে অশান্তি ছড়াতে পারে। নবান্নের থেকে সেই বিষয়ে আগাম সতর্কতা নেওয়া হচ্ছে। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় পুলিশ রাস্তায় নেমে কড়া নজরদারিও শুরু করেছে। বিভিন্ন জায়গায় মিছিলের অনুমতিও দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠছে। হাওড়ায় রামনবমীর দিন মিছিল করতে চেয়েছে অঞ্জনী পুত্র সেনা এবং বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। সেজন্য কলকাতা হাই কোর্টে দ্বারস্থ হয় দুই সংগঠন।বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে এদিন সেই মামলার শুনানি হয়। শুনানিতে একাধিক বক্তব্য রাখেন বিচারপতির। একাধিক শর্তসাপেক্ষে দুই মিছিলের অনুমতি দেওয়া হল। অঞ্জনী পুত্র সেনা ও বিশ্ব হিন্দু পরিষদ পৃথকভাবে ওই মিছিল করবে। সেক্ষেত্রে ওইদিন আলাদা সময়ে দুটি মিছিল করা হবে। সকাল ৮.৩০ থেকে বেলা ১ টা পর্যন্ত মিছিল করবে অঞ্জনী পুত্র সেনা। অন্যদিকে, বিকাল ৩টে থেকে ৬টা পর্যন্ত মিছিল করার অনুমতি পেয়েছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। তবে দুটি মিছিলেই পাঁচশো জনের বেশি লোক থাকতে পারবে না। দুই মিছিল মলিয়ে মোট হাজার জন থাকতে পারবেন বলে নির্দেশ আদালতের। পৃথক রাস্তায় দুই মিছিল হবে। সব থেকে বড় বিষয়, কোনও মিছিলেই অস্ত্র ব্যবহার করা যাবে না। এই কড়া নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট। পিভিসি দিয়ে তৈরি যে কোনও ধর্মীয় প্রতীক নিয়ে মিছিল করা যাবে। ধাতুর তৈরি কোনও হাতিয়ার নিয়ে মিছিল করা যাবে না।শুনানি চলাকালীন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের প্রশ্ন, “দুর্গাপুজোয় কোথাও গন্ডগোল হলে কি দুর্গাপুজো কি বন্ধ করে দেব?” তাঁর মন্তব্য, “ক্ষমতা থাকা এবং ক্ষমতার প্রয়োগ করা দুটো সম্পূর্ণ আলাদা জিনিস। কোনও এলাকা নিয়ে পুলিশ যদি আশঙ্কা প্রকাশ করে, তাহলে সেটা রাজ্যের পক্ষে ভালো দেখায় না।”।
