প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :-শিক্ষা দুর্নীতিতে চাকরি হারানোর ঘটনা দেশে নতুন নয়। এর আগে ত্রিপুরা, উত্তরপ্রদেশেও এমনটা ঘটেছে। তবে বাংলায় সংখ্যাটা বেশি। এই ইস্যুতে এবার বিজেপিকেও একহাত নিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় |সোমবার, নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে চাকরিহারা শিক্ষকদের সমাবেশ থেকে তাঁর আক্রমণ, ”মধ্যপ্রদেশের ব্যাপম কেলেঙ্কারির কথা ভুলে গেলেন? নিটেও কেলেঙ্কারি হয়েছে। কিন্তু সেসবে তো কারও চাকরি যায়নি। শুধু বাংলায় কিছু হলেই চক্রান্ত? বাংলার শিক্ষা ব্যবস্থাকে ভেঙে ফেলার চক্রান্ত হচ্ছে। এই রায়ের পিছনে অন্য কোনও খেলা নেই তো?”২০১৬ সালের এসএসসি’র প্যানেল ‘অসাংবিধানিক’, ‘প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি’ বলে বাতিল করেছে সুপ্রিম কোর্ট। তাতেই চাকরি হারিয়েছেন প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক–শিক্ষাকর্মী। সেটাই আজ নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম থেকে জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাই এই বিষয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, ‘শিক্ষাব্যবস্থাকে ভেঙে ফেলতে চক্রান্ত করা হচ্ছে। সবাইকে অযোগ্য বলার অধিকার কে দিয়েছে? বিচারের বাণী নীরবে নিভৃতে যেন না কাঁদে। প্রত্যেকের চাকরি ফিরিয়ে দেওয়াই আমার কমিটমেন্ট। কারও সার্ভিস ব্রেক হবে না। এটা ভাববেন না যে আমরা এই রায় মেনে নিয়েছি। আর আমরা পাঁচটি বিকল্প পরিকল্পনাও করে রেখেছি।’সুপ্রিম কোর্ট যদি মানবিক হয় তাহলে একরকম পথ নেবেন মুখ্যমন্ত্রী। আর যদি তা না হয় তাহলেও পাঁচটি বিকল্প পথ ভাবা আছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। আজ এই নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, ‘আপনাদের শোকে আমরা পাথর। আমরা হৃদয়হীন নই। দায় ঝেড়ে ফেলতে পারি না। মধ্যপ্রদেশে ব্যাপম কেলেঙ্কারি, পরে নিটেও তো দুর্নীতি হয়েছিল। তাতে তো কারও চাকরি যায়নি। বাংলার বেলাতেই শুধু চক্রান্ত? শিক্ষা ব্যবস্থাকে ভেঙে ফেলার চক্রান্ত করা হচ্ছে। আমি বেঁচে থাকতে যোগ্যদের চাকরি কেড়ে নিতে দেব না। সুপ্রিম কোর্টকে বলতে চাই, চাকরি দিতে না পারলে কেড়ে নেবেন না। শিক্ষাব্যবস্থাকে বাঁচাতে শিক্ষকদের কাজ চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হোক।’
