প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- বিজেপি যুব মোর্চার ডাকে ‘কালীঘাট চলো’ অভিযান শুরু হতেই তা তুলকালাম কাণ্ডে পরিণত হয়| সোমবার এক্সাইড মোড়ে এই অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়। পুলিশের সঙ্গে সরাসরি ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন বিজেপির কর্মীরা। তখনই শুরু হয় পাল্টা ধরপাকড়। এই কর্মসূচি শুরু হতেই আটক করা হয়ে বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়, ফাল্গুনী পাত্রদের। এমন অরাজক পরিস্থিতি তৈরি করার জন্য একাধিক বিজেপি কর্মীকেও আটক করে পুলিশ। তাঁদের লালবাজারে নিয়ে যাওয়া হয়।বিজেপি নেত্রী তথা প্রাক্তন সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়কেও আটক করা হয়।এদিকে ২০১৬ সালের এসএসসি’র নিয়োগ প্যানেল ‘অসাংবিধানিক’, ‘প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি’ বলে বাতিল করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। তার জেরেই এক লহমায় চাকরি হারিয়েছেন প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক। একই দিনে বিজেপির তরফ থেকেও এদিন পথে নামার ডাক দেওয়া হয়েছিল। ‘কালীঘাট চলো’ ডাক দেওয়া হয়েছিল। এই কর্মসূচি ঘিরে চরম বিশৃঙ্খলা তৈরির আশঙ্কা করা হয়েছিল। সেজন্য নিরাপত্তার খাতিরে বিশাল পরিমাণে পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়। এক্সাইড মোড় থেকে এদিন মিছিল শুরু হওয়ার কথা ছিল। বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা সেখানে উপস্থিত হয়। পুলিশ তাঁদের সেখানে আটকায়। নিমেষে শুরু হয়ে যায় বিক্ষোভ। পুলিশ তাঁদের বাধা দিলে শুরু হয়ে যায় ধস্তাধস্তি। কার্যত রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে ওই এলাকা। পুলিশের সঙ্গে ধুন্ধুমার শুরু হয়। বিজেপির তরফে উপস্থিত ছিলেন লকেট চট্টোপাধ্যায়-সহ একাধিক নেতৃত্ব।
অন্যদিকে নিরাপত্তায় বিশাল পুলিশ মোতায়েন রাখা ছিল। এক্সাইড মোড় থেকে আজ মিছিল শুরু হয়। বিজেপির কর্মী–সমর্থকরা সেখানে উপস্থিত হয়ে স্লোগান দিতে থাকে। পুলিশ তাঁদের সেখানে আটকে দেয়। তখনই শুরু হয়ে যায় তুমুল বিক্ষোভ। পুলিশ তখন তাঁদের বাধা দিলে চরমে ওঠে ধস্তাধস্তি। তখন রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে এক্সাইড এলাকা। আর পুলিশের সঙ্গে ধুন্ধুমার ধস্তাধস্তি শুরু হয়। বিজেপির পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন লকেট চট্টোপাধ্যায়–সহ নেতা–কর্মীরা। এই ঘটনার জেরে বিক্ষোভকারীদের তাড়া পর্যন্ত করে পুলিশ। তখন কয়েকজন বিক্ষোভকারী কলকাতা পোর্ট ট্রাস্টের গেস্ট হাউসের ভিতরে ঢুকে পড়েন।
