প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :-মঙ্গলবার সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের প্রতিনিধিরা সাক্ষাৎ করেছিলেন বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে। সেই সাক্ষাতের পরই তিনি মঞ্চের কয়েকজন প্রতিনিধিদের নিয়ে এসএসসি-র দফতরে চেয়ারম্যানের সঙ্গে দেখা করার জন্য গেছিলেন। কিন্তু সেই সাক্ষাৎ হয়নি কারণ দফতরে ছিলেন না চেয়ারম্যান। বিষয়টিতে কিছুটা হতাশ হয়ে অভিজিৎ জানিয়েছেন, বুধবার ফের আসবেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী কৌস্তভ বাগচীও। যদিও এসএসসি চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদারের সঙ্গে দেখা পাননি তাঁরা। সুতরাং খালি হাতে ফিরতে হল তাঁদের। তখন মিছিল থেকে সংবাদমাধ্যমকে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে কাজ করতে পারেননি মুখ্যমন্ত্রী। আরও বৃহত্তর আন্দোলন হবে এসএসসি ইস্যুতে। এসএসসি যোগ্য–অযোগ্যর তালিকা প্রকাশ করলে চাকরি ফিরে পেতে পারেন যোগ্যরা। ২০১৬ সালের এসএসসি’তে অংশগ্রহণকারী সমস্ত পরীক্ষার্থীর ওএমআর শিট ওয়েবসাইটে আপলোড করলেও হবে।’আজ চাকরিহারাদের সঙ্গে কথা বলার পরই সাংবাদিক বৈঠক করেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেখানে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করে বিজেপির সাংসদের বক্তব্য, ‘যোগ্যদের চাকরি বাঁচানোর দায় মুখ্যমন্ত্রীরই। তাঁর জন্যই যোগ্য–অযোগ্য বাছাই করা যাচ্ছে না। এসএসসি চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদারের হাত–পা বেঁধে রেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী। যোগ্য–অযোগ্যদের তালিকা প্রকাশ্যে আনতে দেওয়া হচ্ছে না রাজনৈতিক কারণেই।’তবে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় হাল ছেড়ে না দিয়ে তাঁর কথায়, ‘আমরা আমাদের দাবিদাওয়া জানিয়েছি। ওখানে থাকা পুলিশ অফিসারকেও জানিয়েছি যে আমরা বুধবার আবার আসব। আমাদের দাবি, ওএমআরের মিরর ইমেজ প্রকাশ্যে আনা হোক। আর যাঁরা তা প্রকাশ্যে আনতে দিচ্ছেন না, তাঁদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হোক।’ পাল্টা খোঁচা দিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেছেন, ‘উনি বিচারপতি থাকাকালীন রাজনৈতিক নেতাদের মতো কথা বলতেন। আর এখন সাংসদ হয়ে বিচারপতির মতো কথা বলছেন। শুনেছিলাম এক সময় নাকি উনি অভিনেতা হতে চাইতেন! উনি কি জানেন না কোন সময় কোন পার্ট করতে হয়? প্রকৃত অভিনেতার বোঝা উচিত কোনটা কার কাজ।’
