নিজস্ব সংবাদদাতা:- তাঁর আচরণে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়েছে। এই অভিযোগ করায় দলীয় সাংসদ সৌগত রায়কে বেলাগাম আক্রমণ করলেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার এক সাংবাদিক বৈঠকে সৌগতবাবুকে ‘নারদার চোর’ বলে আক্রমণ করেন তিনি। বলেন সৌগতবাবুদের জন্যই দলের ভাবমূর্তি খারাপ হয়েছে।নারদ কাণ্ডে টাকা নেওয়ার ভিডিও নিয়েও সৌগত রায়কে কার্যত তুলোধোনা করেন কল্যাণ। বলেন, “অনেক কারণে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়। সৌগত রায়ের জন্য নষ্ট হয়নি? সৌগতর নারদার টাকা খাওয়ার জন্য দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়নি?” তাঁর আরও সংযোজন, “সৌগত রায় তো সেই সময় পালিয়ে যেত। ২০১৬-২০১৭ সালে ওঁকে দেখে সবাই চোর-চোর বলত। নারদ কাণ্ডে যাদের নাম জড়িয়েছিল, তাদের একজনও বসে থাকত? আমাকে শুনতে হত। নারদ কাণ্ডে সৌগত রায়রা দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছেন।” এরপরই তাঁর খোঁচা, “সৌগত রায়ের কোনও ক্যারেক্টার আছে নাকি? এখানে এক কথা বলেন, ওখানে আরেক কথা বলেন।” সৌগত প্রিয়রঞ্জন দাসমুন্সি ঘনিষ্ঠ বলেও দাবি করেছেন কল্যাণ। এই ইস্যুতে কল্যাণকে পালটা তোপ দেগে সৌগত বলেন, “ওঁর রুচিবোধ কম, সভ্যতা-শ্লীলতাও নেই। একটা দুর্মুখ। নারদ কাণ্ডে টাকা নিলে, সেটা কেন কোর্টে প্রমাণ করতে পারল না?” পরিশেষে শ্রীরামপুরের সাংসদ বলছেন, “দিদি (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) যদি বলেন ভুল করেছি, রাজনীতি ছেড়ে চলে যাব। আমার রাজনীতি নিয়ে অত কিছু নেই। কিন্তু কারও অসভ্যতা সহ্য করব না।”এর পরই কল্যাণকে মুখ্য সচেতকের পদ থেকে সরানোর দাবি তোলেন সৌগত রায়। তিনি বলেন, ‘দুর্মুখ, অনিয়ন্ত্রিত মানুষ হিসাবে কল্যাণ এর মধ্যেই একটা সুনাম অর্জন করেছে। ও ওর সুনাম নিয়ে থাকুক। কিন্তু আমি মনে করি কল্যাণকে মুখ্য সচেতকের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া উচিত। আসলে এই কদিন সুদীপ অসুস্থ থাকায় কল্যাণের হাতে ক্ষমতা এসেছিল। ও হাতে মাথা কাটছিল। যাকে ইচ্ছে বলতে দিচ্ছিল। বলতে চাইলে লোককে অপমান করছিল। আমার মনে হয় তৃণমূলের সাংসদদের মধ্যে একজনকেও পাওয়া যাবে না যিনি কল্যাণের পক্ষে। এখন ওকে সরানোর ব্যাপারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা সিদ্ধান্ত নেবেন আমরা তা মেনে চলব। কল্যাণের অসহিষ্ণু আচরণের জন্য আমাদের দলের সম্মান ক্ষুণ্ণ হল।’
