Breaking News

‘‌আপনাদের সার্ভিস ব্রেক হবে না’‌, চাকরিহারাদের পাশে দাঁড়িয়ে বড় বার্তা দিলেন মমতা!সুপ্রিম রায়ে ‘দাগি’ যারা, সেই ‘অযোগ্য’দের কী হবে?জানালেন মমতা

দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :-আদালতের রায়ে চাকরিহারা প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মী। এদের মধ্যে কারা যোগ্য, কারা অযোগ্য, তা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। তবে বিষয়টি যে সহজে সরকার ছেড়ে দেবেন না তা এদিন নেতাজি ইনডোরে সভায় স্পষ্ট করেছেন মুখ্যমন্ত্রী |এদিন মমতা বন্দোপাধ্যায় বলেন, “যোগ্যদের সমস্যা প্রথমে সমাধান করব। সুপ্রিম কোর্টের কাছে যোগ্য ও অযোগ্যদের তালিকা চাইব। সেই তালিকা অনুযায়ী আমি নিজে অযোগ্যদের যাবতীয় নথি খতিয়ে দেখব।” মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, যদি গলদ ধরা পরে সেক্ষেত্রে কিছু করতে পারবেন না। যদি অন্য়ায়ভাবে কাউকে ‘অযোগ্য’ বলে দাবি করা হয়ে থাকলে পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। তবে সকলকে নিশ্চিন্তে থাকার পরামর্শ দেন তিনি। বলেন, “চিন্তা করবেন না। নিশ্চিন্তে থাকুন। যোগ্য-অযোগ্যদের গন্ডগোল তৈরি করবেন না। বাচ্চাদের শিক্ষা দিন। আমি নিশ্চয় সকলের কথা শুনব। আগে আমাকে তদন্ত করতে দিন। আইনের ধারা অনুযায়ী কাজ করব। কারও চাকরি যাক সেটা আমি চাই না।”মমতার কথায়, “যাঁরা এতদিন কাজ করতেন, তাঁরা কী করবেন? নতুন পরীক্ষা নিতে বলেছেন, আগে জানতে চাই, যাঁরা শিক্ষক ছিলেন এতদিন, তাঁদের জন্য কী ব্যাখ্যা? স্কুল কে চালাবে?” সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া ব্যাখ্যা অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ করবে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, “যখন কেউ পথ হারায়, পথের মধ্যে পথ খুঁজে নিতে হয়। ভাঙা রাস্তা পেরিয়ে পথ খুঁজে নিতে হয়। এ, বি বাতিল হলে সি রেডি, ডি রেডি, ই রেডি রাখতে হয়।” চাকরিহারাদের উদ্দেশে মমতার বার্তা, “স্কুলে যান। কে বারণ করেছে? সার্ভিস ব্রেক হবে না। ২ মাসের মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে সব কিছু করব।” মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাস, “আপনাদের কারও কাছে ভিক্ষা করে খেতে হবে না। পড়াশোনা করুন। বাচ্চাদের মানুষ করুন। ভলান্টিয়ারিলি সার্ভিস দিন। আমরা চাই আইন আপনাদের সুরাহা করুক। মমতাকে খাস্তা করতে গিয়ে শিক্ষকদের চাকরি কেড়ে নেবেন না। কারও উসকানি, প্ররোচনা শুনে প্ররোচিত হবেন না। মনে রাখবেন।” তবে স্বেচ্ছাশ্রম নিয়ে চাকরিহারারা প্রশ্ন তোলেন বেতন পাওয়া যাবে কিনা। সেক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের কথা উল্লেখ করে মমতা বলেন, “২ মাস কষ্ট করুন, ২০ বছর নিশ্চিন্তে থাকতে পারবেন।”

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *