দেবরীনা মণ্ডল সাহা :- রামনবমীর বাংলায় সম্প্রীতির ছবি। রাজনীতির স্বার্থে ধর্মযুদ্ধে মেতেছে বিভিন্ন দল। ধর্মীয় উৎসবে অশান্তি নয়, সম্প্রীতিতেই আস্থা রাখল মালদহ শহর। রামনবমীতে হিন্দুদের শোভাযাত্রায় মিষ্টি ও জলের বোতল বাড়িয়ে দিলেন মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষেরা। হল কোলাকুলি, একে অপরের মিষ্টিমুখও|প্রতিবছরের মতো এবারও মালদহ শহরের প্রাণকেন্দ্র পোস্ট অফিস মোড় ও রাজ হোটেল এলাকায় বিশ্ব হিন্দু পরিষদের মিছিল বের হয়। সেখানে অংশগ্রহণ করেন মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষেরা। রামনবমীর শোভাযাত্রা এগিয়ে নিয়ে যেতে সহযোগিতা করতে দেখা যায় তাঁদের। সম্প্রীতির ঐতিহ্য মেনেই রামনবমীর শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণকারীদের জন্য জল এবং মিষ্টির ব্যবস্থা করেন মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষেরা।ডিজে বাজিয়ে গেরুয়া ধ্বজা নিয়ে জয় শ্রীরাম স্লোগান তুলে মিছিল হচ্ছিল মালদহ শহরে। ভারতবর্ষের মানচিত্রের আকারে বিশালাকার মালা তৈরি করা হয় এদিন। ফোয়ারা মোড়ে মালদহ শহর মুসলিম কমিটির তরফে রামনবমীর শোভাযাত্রায় জল ও মিষ্টি বিতরণ করা হয়। একে অপরকে মিষ্টি খাওয়ান দুই ধর্মাবলম্বী মানুষেরা। মুসলিম কমিটির ব্যানারে লেখা ছিল “ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আমরা”। শোভাযাত্রার উপর ফুল ছড়িয়ে দেন মুসলিমরা। হিন্দু মুসলিম ভাই ভাই বার্তা ছড়িয়ে দেন সকলে।
অন্যদিকে, কলকাতায় আয়োজিত একটি সম্প্রীতির শোভাযাত্রায় নজর কাড়েন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কুণাল ঘোষ। এদিন তাঁর পরনে ছিল – গোলাপি শার্ট-প্যান্ট, গলায় উত্তরীয়র মতো করে জড়ানো ছিল চেলি কাপড়, আর মাথায় ছিল গোলাপি পাগড়ি | সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের মুখোমুখি হয়ে এই আয়োজন সম্পর্কে কুণাল বলেন, ‘এটা সম্প্রীতির শোভাযাত্রা। মুসলমানদের পবিত্র ইদে আমরাও সামিল হয়েছি। রামনবমীর শোভাযাত্রায় মুসলমানরাও সামিল হচ্ছেন। ধর্মীয় শোভাযাত্রা সব ধর্মের আলাদা হতেই পারে। কিন্তু উৎসব সবার। এটাই বেঙ্গল মডেল। এটাই বাংলার সংস্কৃতি।’