দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- ছাব্বিশের নির্বাচনের আগে গ্রাম দখলের লক্ষ্যে ব্যর্থ হওয়া ‘গ্রাম চলো’ কর্মসূচি ফের শুরু করতে চলেছে গেরুয়া শিবির। এবার একেবারে শীর্ষস্তরের নেতাদের গ্রামমুখী করে। সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের স্তরে নির্দেশ এসেছে রাজ্য বিজেপির প্রথম সারির নেতাদের জন্য রয়েছে আরও নীচের স্তরে গিয়ে জনসংযোগ কর্মসূচি পালন করতে হবে। মানুষের সঙ্গে কথা বলতে হবে। সেজন্য প্রথম সারির নেতাদের রুটিনও বেঁধে দেওয়া হবে। এই কর্মসূচির পোশাকি নাম ‘গ্রাম চলো’| একেবারে সুকান্ত মজমুদার, শুভেন্দু অধিকারী, অগ্নিমিত্রা পাল, জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়, লকেট চট্টোপাধ্যায়দের মতো প্রথম সারির নেতারা এই কর্মসূচিতে অংশ নেবেন।রাজ্য স্তরে আহ্বায়ক হিসেবে এই গোটা কর্মকাণ্ড দেখভাল করছেন অগ্নিমিত্রা পাল । তিনি জানাচ্ছেন যে, রাজ্য স্তরের সব গুরুত্বপূর্ণ পদাধিকারীকে এই কর্মসূচিতে শামিল হয়ে গ্রামে গিয়ে দিনের এক-তৃতীয়াংশ কাটিয়ে আসতে হবে,দিল্লির নির্দেশ তেমনই। নেতারা যে গ্রামে যাচ্ছেন, সেখানকার বুথ ও শক্তিকেন্দ্র স্তরের কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। সাধারণ গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলবেন, তাঁদের অভাব-অভিযোগের কথা জানবেন। সাধ্যমতো সমাধান খোঁজারও চেষ্টা করবেন। সম্ভব হলে এলাকার গণ্যমান্যদের সম্মাননা জ্ঞাপন করবেন। দুপুরে কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে পঙ্ক্তিভোজন সারবেন। বিকেলে বা সন্ধ্যায় ফিরে আসার আগে করবেন ‘উঠোন বৈঠক’। এ রাজ্যে বিজেপি যখন ‘ছোট’ দল ছিল, তখন ভোটের আগে বড় সভা না করে গ্রামে গ্রামে এ রকম বৈঠকে অভ্যস্ত ছিলেন বিজেপি নেতারা। সেই ‘উঠোন বৈঠক’ ফিরিয়ে আনছে বিজেপি।রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের বড় অংশের মতে, ছাব্বিশের ভোটের আগে এই গ্রাম চলো কর্মসূচির মাধ্যমে নিচুস্তরে সংগঠনের শক্তি বুঝে নিতে চাইছে বিজেপির শীর্ষ নেতারা।
Hindustan TV Bangla Bengali News Portal