দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :-শহরে আর কোনও রকম রুফটপ রেস্তোরাঁ করা যাবে না, বড়বাজারে আগুন লাগার ঘটনার পর সাফ জানিয়ে দিলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম|তিনি বলেছেন, রাজ্য সরকার যে কমিটি গঠন করেছে, তাদের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত পুরোপুরি বন্ধ থাকবে যাবতীয় রুফটপ রেস্তোরাঁ |বড়বাজারের অগ্নিকাণ্ডের পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছিলেন ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের ঘটনা আর না ঘটে সে বিষয়ে যাবতীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে। এরপরই কলকাতা পুলিশ, দমকল বিভাগ এবং পুরনিগমকে আলোচনা করার নির্দেশ দেন তিনি। আর এই আলোচনার পরই শুক্রবার মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানিয়ে দেন, পরবর্তী নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত শহরের যাবতীয় রুফটপ রেস্তোরাঁ বন্ধ রাখতে হবে। মেয়র জানান, “পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মাকে অনুরোধ করেছি, যাতে তিনি সমস্ত রুফটপ রেস্তোরাঁর নামের তালিকা দেন। আমরা রেস্তোরাঁগুলোকে নোটিস পাঠিয়ে দেব।” তিনি জানিয়েছেন বড়বাজারে যে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিল, সেই বিষয়টা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।মেয়র বলেছেন, “নীচের জায়গা যেমন কেউ বিক্রি করতে পারেন না, তেমনি ছাদও বিক্রি করা যায় না। রুফটপ খোলা থাকবে, যা রেস্টুরেন্ট হয়েছে, বন্ধ করতে হবে। কারণ নীচে আগুন লাগলে, মানুষ যাতে ছাদে গিয়ে আশ্রয় নিতে পারেন।”মেছুয়ার বড়বাজারে হোটেলে অগ্নিকাণ্ডের জেরে মৃত্যু হয়েছে ১৫ জনের। প্রথম থেকেই এই হোটেলের বিরুদ্ধে একাধিক বেনিয়মের অভিযোগ উঠেছিল। দিঘা থেকে ফিরে সরাসরি ঘটনাস্থলে যান মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে বড়বাজার, জোড়াসাঁকোর এলাকার একাধিক হোটেল, মার্কেট, ব্যবসায়ীদের সতর্ক করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা নিজেই বলেছিলেন, নিয়ম থাকলেও, অনেক ব্যবসায়ী তা মানেন না। এরপর ম্যাগমা মার্কেটে পৌঁছে যান মমতা। সারপ্রাইজ ভিজিটে গিয়ে দেখতে পান, সেখানে গাদাগাদি করে ২৪ টা গ্যাস সিলিন্ডার রাখা ছিল।এরপরই মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দেন দমকল, পুরসভা, পুলিশ কমিশনারকে একসঙ্গে বৈঠকে বসতে। তারপরই মেয়র এই নির্দেশ দেন।
Hindustan TV Bangla Bengali News Portal