Breaking News

মেদিনীপুর মেডিক্যালে স্যালাইন কাণ্ডের জের‌!৪ মাসের লড়াই শেষ,অসুস্থ নাসরিনের মৃত্যু এসএসকেএম হাসপাতালে

প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- টানা চারমাসের লড়াই শেষ। মেদিনীপুর মেডিক্যালের স্যালাইন কাণ্ডে ফের মৃত্যু এক প্রসূতির। কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন ওই প্রসূতি। রবিবার রাত ১০টা নাগাদ এস‌এসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নাসরিন খাতুনের মৃত্যু হয়েছে। গত ১২ জানুয়ারি থেকে এস‌এসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল নাসরিন। মস্তিষ্কে রক্ত চলাচল ব্যাহত হ‌ওয়ায় কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হয় নাসরিনের। ভেন্টিলেশনে ছিলেন নাসরিন। চার মাসের লড়াই শেষ হল নাসরিনের। স্যালাইনে বিষক্রিয়ায় অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন নাসরিন |এদিকে নাসরিনের পরিবারের দাবি, সিজার হওয়ার পর আবার অপারেশন করা হয়। নাসরিন খাতুনের দ্বিতীয়বার কেন অপারেশন হল?‌ এটাই বড় প্রশ্ন। প্রথমে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আইসিইউ ওয়ার্ডে ভেন্টিলেশনে ছিলেন। ২০ শতাংশ আশার আলো দেখতে পেয়েছিলেন চিকিৎসকরা। তখন তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় কলকাতায়। কিন্তু চিকিৎসায় সাড়া দেননি নাসরিন। এই বিষয়ে নাসরিনের জামাইবাবু ইনসান আলি বলেন, ‘১০ দিন আগেই জেনারেল বেডে দেওয়া হয়েছিল নাসরিনকে। ১০ মে বাড়ি ফেরার কথা ছিল। ৯ মে রাত থেকে আবার খিঁচুনি, বমি শুরু হয়। রবিবার রাতে ডাক্তাররা জানালেন, নাসরিন আর নেই।’‌প্রসূতির মৃত্যুতে স্বাভাবিকভাবেই শোকস্তব্ধ গোটা পরিবার।পাঁচ প্রসূতি সন্তানের জন্ম দেন। তাঁরা হলেন রেখা সাউ, মামণি রুইদাস, মাম্পি সিং, মিনারা বিবি এবং নাসরিন খাতুন। নাসরিনই ছিলেন সর্বকনিষ্ঠ। অভিযোগ, মেয়াদোত্তীর্ণ রিঙ্গার্স ল্যাকটেট স্যালাইনে অসুস্থ হয়ে পড়েন তাঁরা। সন্তান জন্ম দেওয়ার পরপরই মৃত্যু হয় মামণির। বাকি চারজনের অবস্থা ক্রমশ আশঙ্কাজনক হয়ে ওঠে। একমাত্র রেখা ওই হাসপাতালে থেকে সুস্থ হয়ে ওঠেন। বাকি মাম্পি, মিনারা এবং নাসরিনকে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। টানা চিকিৎসায় মাম্পি, মিনারা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন। তবে একটানা প্রায় চারমাস হাসপাতালেই ছিলেন নাসরিন।অবশেষে শেষ রক্ষা হল না |

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *