দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- নাবালিকা ধর্ষণে অভিযুক্তকে ধরতে এসে কলকাতায় তাঁর সঙ্গী ও এলাকাবাসীর হাতে ঘেরাও খোদ তামিলনাড়ু পুলিশ | তাঁদের আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হলে ভিন রাজ্যের পুলিশ আধিকারিকরা ফোন করেন লালবাজারে | ঘটনাস্থলে যায় কলকাতা পুলিশ | অবশেষে লালবাজারের মধ্যস্থতায় অভিযুক্তকে গ্রেফতার ও তামিলনাড়ু পুলিশকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়| রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে এন্টালি থানা এলাকার অন্তর্গত শিয়ালদহ স্টেশনের কাছে | পূর্ব কলকাতার এন্টালি থানা ও তামিলনাড়ুর তিরুপ্পুর জেলা পুলিশের যৌথ অভিযানে গ্রেফতার হল আব্বাস বৈদ্য নামে ওই পরিযায়ী শ্রমিকও| পুলিশ জানিয়েছে, রবিবার ১০০ ডায়ালে একটি ফোন পেয়ে তৎপর হয়ে ওঠে লালবাজার। এক ব্যক্তি নিজেকে তামিলনাড়ু পুলিশের সাব ইন্সপেক্টর পরিচয় দিয়ে লালবাজারের কন্ট্রোল রুমে ফোন করেন। তিনি জানান, তামিলনাড়ুতে এক নাবালিকাকে ধর্ষণ তথা পকসো মামলায় পলাতক অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করতে এসে শিয়ালদহ স্টেশনের কাছে তাঁদের ঘিরে ফেলা হয়েছে। তাঁদের উপর শুরু হয়েছে হামলা। তাঁরা অভিযুক্তকে ধরে ফেলেছেন। কিন্তু তাঁদের কাছ থেকে অভিযুক্তকে কেড়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। এই তথ্য পেয়েই লালবাজারের পক্ষ থেকে এন্টালি থানাকে বিষয়টি জানানো হয়।এন্টালি থানার পুলিশ আধিকারিকরা কিছুক্ষণের মধ্যেই শিয়ালদহ স্টেশন চত্বরে এসে দেখেন, ভিনরাজ্যের পুলিশ আধিকারিকদের মারধর করতে উদ্যত এলাকার কিছু ব্যবসায়ী তথা বাসিন্দা।ধৃত আব্বাস বৈদ্য যাতে পালাতে না পারে, সেই ব্যবস্থাও করে এন্টালি থানার পুলিশ। ধৃতকে এন্টালি থানায় নিয়ে আসা হয়।এই বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কলকাতা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, “তামিলনাড়ুতে ধর্ষণে অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি । সে পেশায় একজন পরিযায়ী শ্রমিক । তাকে কলকাতায় গ্রেফতার করতে আসে তামিলনাড়ু পুলিশ | তারা অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে এলাকায় গেলে গোলমালের আশঙ্কা তৈরি হয়| আমাদের আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার করে তামিলনাড়ু পুলিশকে|”
Hindustan TV Bangla Bengali News Portal