Breaking News

পুতুল খেলার কাপড় আনতে গিয়ে বাঁকুড়ায় ৫৭ বছরের দর্জির ‘লালসা’র শিকার ৭ বছরের নাবালিকা!

প্রসেনজিৎ ধর :-পুতুলের জামা তৈরির জন্য দর্জির কাছে কাপড় আনতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার এক নাবালিকা। ৭ বছর বয়সী শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার হল শেখ আহিয়া (৫৭) নামে ওই দর্জিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতের কড়া শাস্তির দাবি জানিয়েছে নির্যাতিতা শিশুর পরিবার।ধৃতকে আদালতে পেশ করলে সোমবার বিচারক ধৃতকে ৬ জুন পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। কঠোর থেকে কঠোরতম সাজার দাবি তোলা হয়েছে নির্যাতিতার পরিবারের তরফ থেকে। ওই ব্যক্তির ফাঁসির দাবিতে সরব হয়েছেন এলাকার লোকজন।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ছাতনা থানা এলাকায় বাড়ি ওই নাবালিকার। এলাকাতেই দোকান আছে দর্জি শেখ আহিয়ার। গতকাল, রবিবার দুপুরে বাড়ির সকলে ঘুমাচ্ছিলেন। পুতুল খেলার সময় সেটিকে সাজানোর জন্য কাপড়ের প্রয়োজন ছিল। সেই কথা মাথায় আসতেই কাউকে কিছু না বলে একাই ওই দর্জির কাছে চলে যায় নাবালিকা। কাপড় দেওয়ার নাম করে নাবালিকাকে দোকানের ভিতর নিয়ে যান তিনি। এরপর দোকানের শার্টার নামিয়ে ওই নাবালিকাকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। কাউকে কিছু না বলতেও ভয় দেখানো হয় বলে অভিযোগ। পরে ছাড়া পেয়ে নাবালিকা কোনওরকমে বাড়ি ফিরে আসে।বাড়ি ফিরে পরিবারের সদস্যদের ঘটনার কথা জানায় নাবালিকা। সঙ্গে সঙ্গে ছাতনা থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করে নির্যাতিতার পরিবার। অভিযোগের ভিত্তিতে শেখ আহিয়াকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতের বিরুদ্ধে পকসো আইনের একাধিক ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। সোমবার ধৃতকে বাঁকুড়া জেলা আদালতে পেশ করা হয়।
নির্যাতিতার মা জানিয়েছেন, রবিবার দুপুরে আমরা সবাই খেয়ে দেয়ে একটু শুয়েছি। আমার মেয়ে পুতুলের জন্য কাপড় আনতে বাড়ির পাশের দর্জির দোকানে যায়। অনেকক্ষণ হলেও ফিরছে না দেখে একটু চিন্তা হচ্ছিল। তার পর মেয়ে এসে বলে আহিয়া ওর সঙ্গে খারাপ কাজ করেছে।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *