দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- ১০ দিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন। ব্যারাক থেকে উদ্ধার হল এক পুলিশ কর্মীর ঝুলন্ত মৃতদেহ। দেহে ইতিমধ্যেই পচন ধরেছে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে কলকাতার আলিপুর বডিগার্ড লাইন্সের ৪ নম্বর ব্যারাকে। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, ওই ব্যক্তি ‘আত্মঘাতী’ হয়েছেন। মৃত ব্যক্তির নাম সুখলাল মুর্মু। গোটা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে কলকাতা পুলিশ। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে । প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, চরম পদক্ষেপ করেছেন ওই কনস্টেবল ৷প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, ওই পুলিশ কর্মী তৃতীয় ব্যাটেলিয়নে নিযুক্ত ছিলেন। তাঁর বাড়ি পুরুলিয়া জেলার মানবাজারের পেদ্দা হরিপুর গ্রামে। গত ২৬ মে থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। ২৮ তারিখ লিখিত অভিযোগও দায়ের করা হয়। বিভিন্ন জায়গায় তাঁর খোঁজ চলছিল। কিন্তু কোনও সন্ধান মেলেনি। এদিন দুপুরে আলিপুর বডিগার্ড লাইনের চারতলার সিঁড়ির জানলায় গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় পাওয়া যায়। এই ঘটনায় কলকাতা পুলিশের ডিসি পোর্ট হরি কৃষ্ণ পাই বলেন, “মৃত কনস্টেবল গত মাসের ২৬ তারিখ থেকে নিখোঁজ ছিলেন |সেই ঘটনায় স্থানীয় ওয়াটগঞ্জ থানায় একটি জিইডি করা হয়েছিল| মৃত কনস্টেবলের নাম শুক্লা মুর্মু| তাঁর বাড়ি পুরুলিয়া জেলায়| ইতিমধ্যে তাঁর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন তদন্তকারীরা |”কনস্টেবলের দেহের বাইরের কোনও অংশে আঘাতের চিহ্ন মেলেনি বলে জানা গিয়েছে । ঘটনাস্থলে আসেন কলকাতা পুলিশের হোমিসাইড বিভাগের গোয়েন্দারা| প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, ওই কনস্টেবল বেশ কয়েকদিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন | এরপর আজ তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় । দেহের পাশ থেকে একটি নোট উদ্ধার হয়েছে | সেই নোটে লেখা রয়েছে তিনি নিজেই নিজেকে শেষ করে দিয়েছেন | কয়েক মাস আগে একটি পথ দুর্ঘটনায় তাঁর হাতে চোট লাগে | সেই চোটের ব্যাথায় তিনি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন| পুলিশের অনুমান, সেই কারণেই চরম সিদ্ধান্ত নেন ওই কনস্টেবল | তবে এই ঘটনার নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কি না, তার তদন্ত করছে পুলিশ |
Hindustan TV Bangla Bengali News Portal