Breaking News

অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে নিয়ে বাড়ছে উদ্বেগ!এয়ারলিফট করে দিল্লির এইমসে প্রাক্তন বিচারপতি

দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- প্রাক্তন বিচারপতি এবং তমলুকের বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে উন্নত চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় দিল্লি এইমসে। তিনি দক্ষিণ কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে আইসিইউ-তে ভর্তি ছিলেন। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁর শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত সংকটজনক এবং তিনি ‘লো ফ্লো অক্সিজেন সাপোর্ট’-এ ছিলেন। গ্যাস্ট্রো ইনটেস্টাইনাল সেপসিসে ভুগছেন। গত ১৪ জুন রাত থেকে নিউ আলিপুরের বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি সাংসদ। সেভাবে তাঁর স্বাস্থ্যোন্নতি না হওয়ায় এয়ারলিফট করে দিল্লি এইমসে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। চিকিৎসকের পরামর্শমতো বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টে নাগাদ কলকাতা থেকে দিল্লির উদ্দেশে রওনা দেন বিজেপি সাংসদ।শনিবার থেকেই তাঁর শরীর খারাপ। বমি হচ্ছিল বার-বার। আর সঙ্গে পেটে তীব্র ব্যথা ছিল। এই অবস্থাতেই দ্রুত তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরীক্ষায় ধরা পড়ে, ‘অ্যাকিউট প্যানক্রিয়াটাইটিস’ আর ‘গ্যাস্ট্রোইনটেস্টিন্যাল সেপসিস’। দুটোই মারাত্মক।ডাক্তারদের মতে, এই প্যানক্রিয়াটাইটিসের ব্যথা শুধু পেটেই আটকে থাকে না, পিঠের দিকে ছড়িয়ে পড়ে, কখনও বুক পর্যন্ত যায়। আর সেপসিস হলে অন্ত্রে সংক্রমণ হয়, শরীরেও ছড়িয়ে পড়ে। সময়মতো না সারলে সমস্যা বাড়ে।পরিস্থিতি বিবেচনা করে তাঁকে আইসিউতে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার তাঁর অবস্থার আরও অবনতি হয়। সে কারণে দিল্লির এইমসে চিকিৎসার ভাবনাচিন্তা করা হয়। সে কারণে তাঁকে এয়ারলিফট করে নিয়ে যাওয়া হয় দিল্লিতে।অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় যেসব উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন, সেসব বিশদে পরীক্ষা করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের দাবি, তিনি জিআই সেপসিস বা গ্যাস্ট্রো ইনটেস্টাইনাল সেপসিসে ভুগছেন। কোনওভাবে যদি খাদ্যনালীর মধ্যে দিয়ে অন্ত্রে জীবাণু প্রবেশ করে, তাহলে এই রোগ সংক্রমণের আশঙ্কা থাকে। রোগীর ডায়রিয়া, বমি শুরু হলে সহজে সুস্থ হতে পারবেন না। সারা অঙ্গে ধীরে ধীরে সক্রিয়তা কমবে। কমে যাবে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও। যে কোনও সংক্রমণই যেহেতু শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতাকে দুর্বল করে দেয়, এক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হয় না। রক্ত চলাচল ব্যাহত হওয়া, রক্ত জমাট বাঁধাও এর উপসর্গ। নানাভাবে মানুষের শরীরে এ ধরনের সংক্রমণ ঘটতে পারে। মূলত শ্বাসনালী দিয়ে জীবাণু ঢুকে খাদ্যনালীতে প্রবেশ করলে সংক্রমণ হতে পারে। আবার খাবারের মাধ্যমেও তা শরীরে ঢুকতে পারে। তবে শরীরে জীবাণু ঢুকলেই যে সেপসিস হবে, তেমনটা নয়। এই ধরনের সংক্রমণ শরীরে কোষে ছড়িয়ে পড়লে তবেই তা মারাত্মক হয়ে ওঠে। একে একে নানা অঙ্গ, প্রত্যঙ্গ বিকল হতে থাকে।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *