দেবরীনা মণ্ডল সাহা :-ভারী বর্ষণের জেরে ফের ভূমিধসে বিপর্যস্ত ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। অবরুদ্ধ কালিম্পং জেলার ২৯ মাইল, কালীঝোড়া, শ্বেতীঝোড়া, সেলফিদারা, বিরিকদারার মতো একাধিক এলাকা। সেবক থেকে সিকিমের রংপো পর্যন্ত ৫২ কিলোমিটার সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যানজটে নাকাল দশা যাত্রীদের। এদিকে উত্তরের সমতলে অতিভারী বৃষ্টির জেরে মহানন্দা, তিস্তা, জলঢাকা-সহ প্রতিটি নদীর জলস্তর বাড়ছে। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী সোমবার রাত থেকেই ভারী বৃষ্টি শুরু হয়েছে উত্তরবঙ্গে। পাহাড়ি এলাকা থেকে সমতল—সর্বত্র ভারী বৃষ্টি হয়েছে। রাতেই একাধিক এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়ে। যার জেরে বেশ কিছু এলাকায় যান চলাচল ব্যাহত হয়েছে। বৃষ্টিপাতের জেরে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন।সোমবার বিকেল থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত উত্তরের জেলাগুলিতে ১৪৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে বলে খবর। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ভারী বৃষ্টির জেরে তিস্তা ও মহানন্দা নদী ফুলেফেঁপে উঠেছে। প্রায় বিপদসীমা ছুঁইছুঁই অবস্থায় বইছে উত্তরের বেশির ভাগ নদী। অন্য দিকে, ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের একাধিক জায়গায় ধস নেমে রাস্তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে৷ পাহাড় থেকে ভারী পাথর, বোল্ডার নেমে এসে ভেঙে গিয়েছে রাস্তার একাংশ। শ্বেতীঝোরা, সেলফিদারা, বিরিকদারা, লিকুভিড়-সহ একাধিক এলাকায় ধস নেমেছে। ১০ নম্বর জাতীয় সড়কটি মূলত কালিম্পং এবং সিকিম যাওয়ার পথ। বিকল্প পথে সিকিম যেতে বেশ কিছুটা সময় লাগে। ফলে ধস নেমে যান চলাচল ব্যাহত হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন পর্যটকেরাও। এখনও পাথর সরিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে।দার্জিলিং ও কালিম্পং পাহাড়ের কিছু অংশে অতিরিক্ত ভারী বর্ষণ হয়েছে। তার জেরে ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের একাধিক জায়গায় ভূমিধস দেখা গিয়েছে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, সেবক থেকে সিকিমের রংপো পর্যন্ত ৫২ কিলোমিটার সড়ক বিভিন্ন জায়গায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে যান চলাচল বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। লিখুবীরে ভূমিধসের যান চলাচল পুরোপুরি বিপর্যস্ত হয়েছে। রাস্তাটি খোলা থাকলেও পাহাড় থেকে অবিরাম পাথর গড়িয়ে পড়ছে। প্রশাসনের তরফে গাড়িচালক ও যাত্রীদের সতর্ক করা হয়েছে। এদিকে ভারী বর্ষণের জেরে ফুঁসছে মহানন্দা, তিস্তা, জলঢাকা, চেল, ঘিস-সহ বিভিন্ন নদী। ফুলবাড়িতে মহানন্দা ব্যারাজে জলস্তর বেড়েছে। আগামী শুক্রবার দার্জিলিং এবং কালিম্পং জেলাতে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে।
Hindustan TV Bangla Bengali News Portal