দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- পশ্চিমবঙ্গের জন্য গর্বের মুহূর্ত। শিশু ও কিশোরদের টাইপ-১ ডায়াবেটিস চিকিৎসায় উদ্ভাবনী মডেলের জন্য আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেল রাজ্য। ‘ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি ফর পেডিয়াট্রিক অ্যান্ড অ্যাডোলেসেন্ট ডায়াবেটিস’ (ISPAD) ২০২৫ সালের জন্য এই পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক্স-এ এই সাফল্যের কথা ঘোষণা করে বলেছেন, “এটা বাংলার জন্য নিছক একটা পুরস্কার নয়, বিশ্ব স্বাস্থ্য পরিষেবার পরিসরে এটি হল বাংলার সরকারের দৃঢ় পদচিহ্ন”।‘ইসপাড-২০২৫’ পুরস্কার পাচ্ছেন সুজয় ঘোষ। বিশ্বের শতাধিক চিকিৎসকের মনোনয়ন জমা পড়েছিল। তাঁদের মধ্যে বেছে নেওয়া হয়েছে বাংলার সরকারি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের ডাক্তারকে। তাঁর মডেলের প্রশংসায় পঞ্চমুখ আন্তর্জাতিক মঞ্চ। কী এই ‘ইসপাড’? পুরো নাম ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি ফর পেডিয়াট্রিক অ্যান্ড অ্যাডোলেসেন্ট ডায়াবিটিস। যারা সারা বছর বিশ্বজুড়ে ছোটদের ডায়াবিটিস নিয়ে কাজ করে ও করায়। তাদের মনে ধরেছে, বাঙালি চিকিৎসকের চিকিৎসার মডেল। টাইপ-১ ডায়াবিটিস প্রতিরোধ ও চিকিৎসা ক্ষেত্রে অনবদ্য অবদানের জন্য পুরস্কার নিতে আগামী নভেম্বরে কানাডার মন্ট্রিলে যাবেন সুজয়।বড়দের ডায়াবেটিস ক্লিনিক ছিলই। কিন্তু শিশুদের? সেকথা মাথায় রেখে পরীক্ষামূলকভাবে এসএসকেএমে জুভেনাইল ডায়াবিটিস ক্লিনিক চালু করেছিলেন সুজয়। চূড়ান্ত সাফল্যে মিলতেই গোটা রাজ্যে ধীরে ধীরে তা সম্প্রসারণ হয়। গতবছর রাজ্যের এই পাইলট প্রজেক্টকে স্বীকৃতি দেয় কেন্দ্র সরকারও। গোটা দেশে জুভেনাইল ডায়াবিটিস ক্লিনিক চালুর সিদ্ধান্ত নেয়। সর্বভারতীয়স্তরের পর এবার বিশ্বজয়ের পালা বাঙালি চিকিৎসকের।জানা যাচ্ছে, রাজ্যে যখন শুধু বড়দের ডায়াবেটিস ক্লিনিক চালু ছিল, তখন শিশুদের কথা ভেবেই পরীক্ষামূলকভাবে এসএসকেএম-এ ‘জুভেনাইল ডায়াবেটিস ক্লিনিক’ শুরু করেন ওই চিকিৎসক। মিলেছিল অভূতপূর্ব সাড়া। ধীরে ধীরে গোটা রাজ্যে ছড়িয়ে পড়ে এই পরিষেবা।
এই মডেল এতটাই কার্যকরী প্রমাণিত হয় যে, গত বছর কেন্দ্র সরকারও এর স্বীকৃতি দেয়। জাতীয় স্তরে ‘জুভেনাইল ডায়াবেটিস ক্লিনিক’ চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় পশ্চিমবঙ্গের এই উদ্যোগকে মডেল ধরে। এবার সেই সফলতা পৌঁছে গেল আন্তর্জাতিক মঞ্চেও। টাইপ ১ ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে অবদানের জন্য নভেম্বর মাসে কানাডার মন্ট্রিলে গিয়ে ‘ইসপ্যাড ২০২৫’ পুরস্কার গ্রহণ করবেন সুজয় ঘোষ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বাস্থ্য দফতর, চিকিৎসক এবং সংশ্লিষ্ট সকলকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেছেন, ‘ইসপ্যাড ২০২৫ শুধু একটি পুরস্কার নয় এটি বিশ্বের স্বাস্থ্যক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ছাপ।’
Hindustan TV Bangla Bengali News Portal