Breaking News

নাবালিকা গণধর্ষণ করে খুন!৫ বছর পর মিলল সুবিচার,তিন জনের ফাঁসির সাজা জলপাইগুড়িতে

নিজস্ব সংবাদদাতা:- জলপাইগুড়িতে নাবালিকা গণধর্ষণ-খুনের পাঁচ বছর পর মিলল সুবিচার। এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত ৩ জনকে ফাঁসির নির্দেশ দিল জলপাইগুড়ির বিশেষ পকসো আদালত। বৃহস্পতিবার বিচারক এই রায় ঘোষণা করায় খুশি নাবালিকা ছাত্রীর পরিবার।জলপাইগুড়ির বিশেষ পকসো আদালতের বিচারক রিন্টু সুর এই সাজা ঘোষণা করেছেন। ওই ঘটনাকে ‘বিরলতম’ বলে আখ্যা দিয়েছেন বিচারক। রায় ঘোষণা হওয়ার পর নাবালিকারা বাবা বলেন, ‘‘আজ আমার মেয়ের আত্মা শান্তি পেল। আমি বার বার বলে আসছিলাম, আমার মেয়ের খুনিদের ফাঁসি হোক। আজ আমি খুব খুশি এই রায়ে।’’ রাজগঞ্জ ব্লকের বাসিন্দা বছর ষোলোর ওই কিশোরী ২০২০ সালের ১০ অগস্ট নিখোঁজ হয়। পরিবার থানায় অভিযোগ জানানোর পরেই তদন্তে নামে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় রহমান আলি নামে এক যুবককে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এরপরেই গ্রেফতার করা হয় রহমানের দুই বন্ধুকে। তাঁদের নাম জামিরুল হক এবং তমিরুল হক। এই তিন জনকেই ফাঁসির সাজা শুনিয়েছেন বিচারক।সরকারি আইনজীবী দেবাশিস দত্ত জানান, নিখোঁজ হওয়ার আগে মেয়েটির মোবাইলে একটি ফোন এসেছিল। তারপরেই নাবালিকা নিখোঁজ হয়ে যায়। তদন্তে জানা যায়, রহমানই তাকে ফোন করেছিল। নিখোঁজ হওয়ার দু’দিন পর নাবালিকা এক আত্মীয়কে ফোন করে জানিয়েছিল, তাকে চটের হাটে নিয়ে গিয়েছে রহমান। তার পর থেকে আর কোনও যোগাযোগ ছিল না। রহমানেরা গ্রেফতার হওয়ার পর পুলিশ জানতে পারে, নাবালিকাকে ১০ দিনে ধরে একাধিক বার ধর্ষণ করেছে তিন বন্ধু মিলে। তার পর জামিরুল নিজের পরনের গেঞ্জি খুলে শ্বাসরোধ করে তাকে খুন করে।ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তারা সকলেই নাবালিকার পূর্ব পরিচিত। জানা গিয়েছে, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাড়ি থেকে বের করে ধর্ষণ করা হয় নাবালিকাকে। মামলায় মোট ২৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। শেষমেশ বৃহস্পতিবার তিনজনকে দোষী সাব্যস্ত করে বিচারক। তাদের ফাঁসির সাজা শোনানো হয়। ঘটনার ৫ বছর পর সুবিচার পেয়ে খুশি নাবালিকার পরিবার।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *