প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- গণবিক্ষোভে সরকার পতনের মতো তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা ঘটে গিয়েছে প্রতিবেশী দেশে। এই মুহূর্তে কার্যত পালানোর পথ খুঁজছেন নেপালের সদ্য পদত্যাগী প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলি। বাংলার সীমান্ত লাগোয়া দেশের এই পরিস্থিতির প্রভাব পড়ার আশঙ্কা এপাড়েও। তা নিয়ে মঙ্গলবার উদ্বেগপ্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন কলকাতা থেকে শিলিগুড়ি যাওয়ার পথে দমদম বিমানবন্দরে তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শান্তির বার্তা দিলেন।মঙ্গলবার কলকাতা থেকে শিলিগুড়ির উদ্দেশে রওনা হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। উত্তরবঙ্গ সফরে প্রশাসনিক বৈঠক রয়েছে তাঁর। যাওয়ার সময়ে কলকাতার বিমানবন্দরে মমতা বলেন, তিনি নেপালের পরিস্থিতি নিয়ে মন্তব্য করবেন না। তাঁর কথায়, ‘‘নেপাল আমার দেশ নয়। বিদেশি রাষ্ট্র নিয়ে মন্তব্য করতে পারি না। প্রতিবেশী দেশ বলে আমরা তাকে ভালবাসি। এখন ভারত সরকার আমাদের কিছু বললে তবে কিছু বলতে পারব।’’ তিনি জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে নেপালের পরিস্থিতি নিয়ে কোনও বার্তা আসেনি।তার পরেই তিনি জানান, শিলিগুড়ি, কালিম্পঙে নেপালের সঙ্গে বিস্তীর্ণ সীমান্ত রয়েছে। সেখানে শান্তি বজায় রাখতে অনুরোধ করেছেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘যেহেতু আমাদের ব্যাপার নয় (নেপালের পরিস্থিতি), তারা তাদেরটা ঠিক করুক। আমাদের হস্তক্ষেপ করা উচিত নয়। কেউ যাতে সমস্যায় জড়িয়ে না পড়েন, সেই অনুরোধ করব।’’ মমতা এর পরে প্রতিবেশী রাষ্ট্রে শান্তিও কামনা করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘আমরা বিশ্বাস করি প্রতিবেশী ভাল থাকলে আমরা ভাল থাকি। শান্তি থাক, সকলে ভাল থাক। এটুকু বলার।’’
Hindustan TV Bangla Bengali News Portal