প্রসেনজিৎ ধর, হুগলি:-‘জেন জি’ আন্দোলনে উত্তপ্ত প্রতিবেশী রাষ্ট্র নেপালের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। জানিয়েছিলেন, প্রতিবেশী হিসাবে সর্বদা বাংলার পাশে থেকেছে নেপাল। অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে সেই সম্পর্ক বজায় থাকবে বলে আশাবাদী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার নেপালের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী সুশীলা কার্কীকে অভিনন্দন জানালেন তিনি। সেই সঙ্গে জানালেন, বন্ধুত্ব এবং সহযোগিতা অটুট থাকবে।মমতা X হ্যান্ডেলে লেখেন, “নেপালের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান সুশীলা কারকিকে শুভেচ্ছা জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলা-নেপালের সীমান্তের কাছাকাছি। মানুষের পারস্পরিক অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। প্রতিবেশীর সঙ্গে দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বের বাঁধন এবং সহযোগিতার সম্পর্ক আরও উন্নত হোক।”বুধবার ৫ হাজার যুব আন্দোলনকারী একটি ভারচুয়াল বৈঠক করে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসাবে কারকির নাম প্রস্তাব করে। জানা যায়, তরুণ প্রজন্ম কারকির কাছে প্রস্তাব নিয়ে গেল তিনি সমর্থনের জন্য কমপক্ষে ১,০০০ লিখিত স্বাক্ষর চেয়েছিলেন। যদিও তাঁকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসাবে সমর্থন করে ২,৫০০-রও বেশি স্বাক্ষর সংগ্রহ হয়। এরপর নেপালের অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী পদে বসার জন্য সেনাপ্রধান জেনারেল অশোক রাজ সিগদেল ও প্রেসিডেন্ট রাম চন্দ্র পৌডেলেরও অনুমোদন পেয়ে যান কারকি।‘জেন জি’ বিক্ষোভের জেরে ওলি সরকারের পতনের চারদিন পর দেশটির দায়িত্বভার উঠেছে কারকির কাঁধে। শুক্রবার রাতে নেপালের রাষ্ট্রপতি ও অন্যান্য প্রধানদের উপস্থিতিতে শপথ নেন তিনি। কাঠমান্ডুর রাষ্ট্রপতি ভবন শীতল আবাস থেকে বিবৃতি জারি করে সে কথা জানানো হয়। ফলে ‘জেন জি’ বিক্ষোভের জেরে ওলি সরকারের পতনের চারদিন পর দেশটির দায়িত্বভার উঠেছে কারকির কাঁধে। নেপালের সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি সুশীলা কারকি। যিনি আবার বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী।
Hindustan TV Bangla Bengali News Portal