প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা:- উত্তরবঙ্গে বন্যা চলাকালীন পুজো কার্নিভালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতি নিয়ে কটাক্ষ করেছিলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুধু তিনি একা নন, পাশাপাশি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি প্রত্যকেই তীব্র নিন্দা জানিয়েছিলেন। মঙ্গলবার উত্তরকণ্যায় বসে এবার তাঁদের জবাব দিলেন মমতা। শান্ত গলায় বুঝিয়ে বললেন কেন সেদিন তিনি আসেননি। তিনি বা তাঁর সঙ্গে থাকা প্রশাসনিক কর্তারা এলে কী কী অসুবিধা হত তাও বললেন তিনি।সোমবার দুপুর থেকে মঙ্গলবার দুপুর, উত্তরের বিপর্যয়গ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনের পর এদিন বিকেলে উত্তরকন্যার সাংবাদিক বৈঠক থেকে যাঁর জবাব দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়)। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, যাঁরা কার্নিভাল নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন তাঁরা আসলে রাজনীতি করছেন |
এরপরই নিজস্ব স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “তাছাড়া দুর্গাপুজোর অনুষ্ঠানটাও আমাদের ঐতিহ্যের স্বীকৃতি, আমাদের গর্ব। সবকিছু আগে থেকে ঠিক করা হয়েছিল। ফলে রাতারাতি এভাবে ক্যান্সেল করা সম্ভব! তাছাড়়া আমরা যদি ওই দিনই আসতাম, এসে কী করতাম? পুলিশ, প্রশাসন কাকে সামলাত? হোয়াট ইজ দ্য প্রায়োরিটি। বিপদের সময় মানুষের পাশে থাকা, তাঁদের উদ্ধার করা নাকি ভিআইপি সামলানো, কোন কাজটা করবে প্রশাসন।”তিনি বলেন, রবিবার ভোর পাঁচটায় আমি প্রশাসনের সঙ্গে মিটিং করি। ততক্ষণে স্থানীয় প্রশাসন স্পটে। অর্থাৎ উদ্ধারকাজে কোনও খামতি ছিল না। প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই তা শুরু করা হয়েছিল। এরপরই বন্যার ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দেগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বন্যা ত্রাণে বাংলাকে এক টাকাও দেওয়া হয়নি। তা সত্ত্বেও আমরা তো লড়াই করে যাচ্ছি। দুটো দিন অপেক্ষা করলে তো মহাভারত অশুদ্ধ হয়ে যাবে না, জীবনটা তো আগে। তাই সবার আগে আমরা উদ্ধার কাজে নজর দিয়েছি। নাম না করে প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে মুখ্যমন্ত্রী এও বলেন, ”নির্বাচিত সরকারের কথা না শুনে দোষারোপ চলছে! মৃত্যু হয়েছে প্রাকৃতিক দুর্যোগে বলা হল ব্রিজ ভেঙে!”
Hindustan TV Bangla Bengali News Portal