দেবরীনা মণ্ডল সাহা:-মিরিকেই ফের দেখা গেল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়কে। ধসে সব হারানো পরিবারের সঙ্গে কথাও বললেন। বাড়িতে ঢুকে খোঁজখবর নেন। কোন কোন বাড়ি বেশি ক্ষতির মুখে পড়েছে, কারা মারা গিয়েছেন, তাঁদের পরিজনরা কেমন আছেন সব বিষয়েই বিশদে খোঁজখবর নেন। প্রথম কর্মসূচি হিসাবে সুখিয়াপোখড়ির ত্রাণ শিবির মুখ্যমন্ত্রীর যোগ দেওয়ার কথা থাকলেও সেখানে না ঢুকে নেপাল সীমান্তের পশুপতি বাজার হয়ে সোজা মিরিকে চলে আসেন। প্রবল বৃষ্টি এবং ভুটানের জলে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে উত্তরবঙ্গ। যদিও বিপর্যয় কাটিয়ে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে পরিস্থিতি। আতঙ্ক কাটিয়ে ছন্দে ফিরছেন সেখানকার সাধারণ মানুষ। এই বিপর্যয়ে মিরিকে সবথেকে বেশি ক্ষতি হয়। প্রাকৃতিক দুর্যোগে ভেঙে যায় রাস্তা, বহু জায়গায় নামে ধস। ভেঙে গিয়েছে বহু বাড়ি ঘর। এমনকী একই পরিবারের তিনজনের মৃত্যুর খবরও মিলেছে। সেখানকার মানুষের পাশে থাকতে মঙ্গলবার সকালেই সেখানে পৌঁছে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্বজনহারা পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। তাঁদের হাতে ত্রাণ তুলে দেওয়ার পাশাপাশি স্বজনহারাদের পাশে থাকার বার্তাও দেন প্রশাসনিক প্রধান।এই মিরিকেই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কবলে পড়ে একই পরিবারের তিনজনের মৃত্যুর খবর সামনে এসেছিল। এদিন একদম লেকের কাছে সেই বাড়িতে চলে যান মুখ্যমন্ত্রী। পরিবারের সদস্যদের হাতে ত্রাণ তুলে দেওয়ার পাশাপাশি তাঁদের আরও কিছু প্রয়োজন আছে কিনা সে বিষয়েও খোঁজখবর নেন। তবে মমতা গোটা এলাকা ঘুরে দেখার পর জানিয়ে দেন যে সমস্ত জায়গাগুলিতে ধস নেমেছিল সেখানে উদ্ধার কাজ ইতিমধ্যেই শেষ হয়ে গিয়েছে। দুর্গতদের সঙ্গে কথা বলার পরেই চলে যান মিরিক বাজারের দিকে। প্রকৃতির রুদ্ররোষে সেখানেও একাধিক এলাকায় ভালরকম ক্ষতক্ষতির ছবি ইতিমধ্যেই সামনে এসেছিব। সেখানে গিয়েছেন তিনি। এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে কথাও বলেন মমতা।
Hindustan TV Bangla Bengali News Portal