Breaking News

৩ বছর আগে রেজিস্ট্রি, ফেব্রুয়ারিতে ছিল বিয়ে!কর্মস্থলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে গঙ্গায় ঝাঁপ যুবতীর! চাঞ্চল্য চন্দননগরে

দেবরীনা মণ্ডল সাহা :- চারমাস পর বিয়ে। ঠিক হয়ে গিয়েছে দিনক্ষণ। তার আগেই গঙ্গায় ঝাঁপ যুবতীর। লিখে গিয়েছেন সুইসাইড নোটও। সেই নোটে নিজের কর্মস্থল একটি সোনার দোকানের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন যুবতী। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে চন্দননগরে।জানা গিয়েছে, মৃত মহিলার নাম মানালি ঘোষ (২৫)। তিনি চন্দননগর বৌ-বাজার বটতলার বাসিন্দা। তাঁর সঙ্গেই বিয়ে হয়েছিল বৌবাজার শীতলাতলার বাসিন্দা সত্যজিৎ রায়ের। রেজিস্ট্রি করে তাঁদের বিয়ে হয়েছিল তিন বছর আগে।জানা গিয়েছে, তিন বছর ধরে মানালি একটি গয়নার দোকানে সেলস গার্লের কাজ করতেন। যে দোকানে তিনি কাজ করতেন সেটি ছিল চন্দননগর বাগবাজারে জিটি রোডের পাশে। নিখোঁজ যুবতীর পরিবারের দাবি, গত তিনদিন ধরে কর্মস্থলে কোনও সমস্যা দেখা দেয়। এমনকী, এক স্থানীয় বাসিন্দা জানান যে, মানালিকে দোকানের বাইরেও কান্নাকাটি করতে দেখা যায়।এরপর আজ সকালে কাজে যান যুবতী। চাকরি ছেড়ে দিচ্ছেন বলে তাঁকে লিখিয়ে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ। মানালি দোকান থেকে বেরিয়ে তাঁর স্বামী সত্যজিৎকে ফোন করেন। চন্দননগর স্ট্যান্ডে গিয়ে কিছুক্ষণ বসেছিলেন। তারপর সুইসাইড নোট লিখে মোবাইল চাপা দিয়ে গঙ্গায় ঝাঁপ মারেন। চন্দননগর থানার পুলিশ খবর পেয়ে গঙ্গায় তল্লাশি শুরু করে। নামানো হয় ডুবুরি স্পিডবোট। পুলিশ জানিয়েছে, যেখানে কাজ করতেন সেই দোকান কর্তৃপক্ষকে দায়ী করে লেখা সুইসাইড নোট পাওয়া গিয়েছে। তদন্তে সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দোকানে গিয়ে অন্যান্য কর্মচারীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। একজনকে আটক করে নিয়ে যাওয়া হয় থানায়।যুবতীর ভাসুর শুভজিৎ রায় বলেন, “দোকানে কোনও একটা সমস্যা চলছিল। সেটা ঠিক কী আমরা বলতে পারব না। আজ সকালে কিছু একটা ঝামেলা হয়েছিল। ভাইকে ফোন করে ও। জানায় দোকানের কাজটা আর নেই। ওকে চন্দননগর স্ট্যান্ডে বসতে বলে ভাই। যখন পৌঁছয় ততক্ষণে সব শেষ।”

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *