Breaking News

‘মুখ্যমন্ত্রী ছাড়া আর কারো হাতে খড়্গ মানায় না’, শুভেন্দুকে পাল্টা জবাব হুগলির সাংসদ রচনার!

প্রসেনজিৎ ধর :-কখনও শ্রীচৈতন্যদেব, কখনও মা সারদা, আবার কখনও নেতাজীর সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তাঁরই দলের সাংসদ-বিধায়করা তুলনা করেছেন তাকে। আর এবার হুগলির সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর হাতেই খড়্গ মানায়,আর কারও হাতে নয়।”মঙ্গলবার হুগলির পান্ডুয়ায় বিভিন্ন কালীপুজোর মন্ডপ পরিদর্শন করেন হুগলির সাংসদ তথা অভিনেত্রী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে এসেই সোমবার নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারীর মন্তব্যের পালটা জবাব দিলেন রচনা। সোমবারই শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন “বাংলায় ধর্ষক বেড়ে গিয়েছে। কোনও কন্যা, বোন সুরক্ষিত নয়। ধর্ষকদের শেষ করতে মা কালীর খড়গটা লাগবে। অভয়া থেকে দুর্গাপুর মেডিক্যাল কলেজ, আমাদের কোনও বোন, কোনও মেয়ে এই বাংলায় সুরক্ষিত নয়। মা দুর্গার ত্রিশূল ও মা কালীর খড়গটা লাগবে এই ধর্ষকদের শেষ করার জন্য। এই প্রার্থনা করি মায়ের কাছে।” এই প্রসঙ্গে সাংসদ বলেন, “মায়ের খড়্গ একজনের হাতেই রয়েছে সেটা আমাদের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর হাতেই খড়্গমানায় আর কারো হাতে মানায় না। কোন কথার কুমন্তব্য হলে তখন তো মহিলারা তাড়া করবেই। মা কালীর হাতেও তো খাড়া রয়েছে। এবার মা কালীও দৌঁড়বে তার পেছনে”।
পান্ডুয়া গোহাট মেলা তলা ব্যবসায়ী সমিতির পুজোয় এসে তিনি বলেন, ‘প্রত্যেক বছরই আসা হয়, এবারেও এসেছি । সব জায়গায় যাওয়ার চেষ্টা করি। সবারই আশা থাকে আমি যেন সাতটা বিধানসভার মানুষের কাছে যেতে পারি, চেষ্টা করি সকলকে আনন্দ দেওয়ার। যতটা সম্ভব হয় চেষ্টা করি। এখনো পর্যন্ত পাঁচটা ঠাকুর দেখেছি। একজনের পক্ষে সব জায়গায় যাওয়া সম্ভব নয় দুর্গাপূজার সময়ও অনেক জায়গায় গেছি। তবে চেষ্টা করি এ বছর যে পাঁচটা এলাম সামনের বছর অন্য পাঁচটায় যাওয়ার চেষ্টা করি, যতটা মানুষকে খুশি করতে পারা যায়। সবাই ভালো থাকুক সবাই শান্তিতে থাকুক আমার পশ্চিমবাংলা মানুষ এবং হুগলি জেলার মানুষ যেন ভালো থাকে’।
কালীপুজোতে হুগলিতে শব্দের তাণ্ডব দেখা গেছে বেশ কয়েকটি জায়গায়। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে চন্দননগরে। সেই প্রসঙ্গে রচনা বলেন , ‘বাজি পোড়ানোর সময় সতর্ক থাকা উচিত। অনেক বড় বড় উঁচু উঁচু অট্টালিকার মত প্যান্ডেল হয়। যারা আতশবাজি পোড়াচ্ছেন বিক্রি করছেন তাদের সকলকে সতর্ক থাকা উচিত। শব্দ দূষণ থেকে আমাদের দূরে থাকতে হবে। আতশবাজি পোড়ানোর সময় ফাঁকা মাঠে পোড়াতে হবে, যাতে কোন মানুষের অসুবিধা না হয়’।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *