দেবরীনা মণ্ডল সাহা :-দু’জনের নাম এক। ভোটার কার্ডের এপিক নম্বরও এক। তবে বাবার নাম আলাদা। কিন্তু, একই এপিক নম্বরের দুটি ভোটার কার্ড কীভাবে সম্ভব? এসআইআরের আবহে এই নিয়ে বুধবার উত্তেজনা ছড়াল কোচবিহারের শীতলকুচিতে। দু’জনের মধ্যে একজন বাংলাদেশ থেকে এসে এখানে বসবাস শুরু করেছেন বলে অভিযোগ। তাঁকে এদিন মারধরও করা হয়। পরে পুলিশ এসে ওই ব্যক্তিকে থানায় নিয়ে যায়।জানা গিয়েছে, এসআইআর শুরু হতেই সমস্যা দেখা দিয়েছে দুই পরিবারের মধ্যে। একই এপিক নম্বরে দুই ভোটারের নাম থাকায় এই থেকে সমস্যার সূত্রপাত হয়েছে। জানা গিয়েছে, শীতলকুচির একটি গ্রামে এনুমারেশন ফর্ম দিতে আসে বিএলও। স্বাভাবিকভাবেই একটি এপিক নাম্বারে একজনের নামের আসে ফর্ম।অভিযোগকারী যুবকের বাবা জানিয়েছেন, “আমার ছেলের নাম মেহবুব আলম। আমার নাম আনিসুর রহমান। আমার নাম রয়েছে ২০০২ সালের ভোটার তালিকায়। আমার ছেলের নাম ভোটার তালিকায় আসে ২০১৯ সালে।” তাঁর অভিযোগ, “বাংলাদেশ থেকে সীমান্ত পেরিয়ে আসা এক ব্যক্তি মেহবুবের ভোটার কার্ডের এপিক নম্বর ব্যবহার করে একটি ভুয়ো ভোটার কার্ড বানায়। ২০২৪ সালের নির্বাচনে আনিসুরের ছেলে মেহেবুব ভোট দিলেও অপর ব্যক্তি ভোট দিতে গিয়েও ফিরে আসেন। আনিসুরের দাবি সেই সময় এই ঘটনার কথা জানতে পেরে ওই ‘ভুয়ো ভোটার’কে তিনি সতর্ক করেন। যদিও এরপরে নিজের ভোটার কার্ডে বাবার নাম এবং ছবি বদলে দেন ওই ব্যক্তি, এমনটাই অভিযোগ করেছেন আনিসুর। এসআইআর শুরু পরে এনুমারেশন ফর্মে আনিসুরের ছেলের বদলে অপর ব্যক্তির নাম আসতেই শুরু হয়েছে সমস্যা।এরপরেই, যে ব্যক্তির নামে ফর্ম এসেছে তাঁর পরিবার চড়াও হয় অন্যজনের পরিবারের উপরে। ওই পরিবারের অভিযোগ, বাংলাদেশ থেকে সীমান্ত পেরিয়ে এসে অভিযোগকারির বাবা নাম ব্যবহার করে ভুয়ো নথিপত্র বানায় অভিযুক্তরা। জানা গিয়েছে দুই পরিবারের অশান্তি সংঘর্ষের আকার নেয়|
Hindustan TV Bangla Bengali News Portal