প্রসেনজিৎ ধর:- বাংলাদেশে আটক বীরভূমের অন্তঃসত্ত্বা সোনালি খাতুন-সহ ছ’জন অবশেষে মুক্তি পেলেন। পড়শি দেশের চাঁপাই নবাবগঞ্জের আদালত জামিন মঞ্জুর করেছে তাঁদের। আর তারপরই সোনালি, সুইটি বিবি-সহ বাকিরা জেল থেকে ছাড়া পান।কিন্তু ঠিক কতদিনের মধ্যে সোনালিদের ভারতে ফেরানো হবে, সেই নিয়ে কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি।জুন মাসের কথা। বাংলাদেশি সন্দেহে সোনালি খাতুন, সুইটি বিবি ও তাঁর ছয় বছরের সন্তান-সহ মোট ১৬ জনকে পাকড়াও করে দিল্লি পুলিশ। সেই সময় এই ঘটনায় সরব হয়েছিল রাজ্য সরকার। ‘বাংলা বলায়’ পুশব্যাক করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু সেই সব অভিযোগের তোয়াক্কা করেনি পুলিশ। ২৬ জুন পাকড়াও। তারপর অগস্ট মাসে বিএসএফ-এর মাধ্যমে পুশব্যাক। এরপর ২১ অগস্ট সোনালিদের গ্রেফতার করে বাংলাদেশি পুলিশ। অনুপ্রবেশের অভিযোগ তুলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সংশোধনাগারে বন্দি করা হয় তাঁদের। সোমবার সেই সংশোধনাগারই জামিন মঞ্জুর করেছে সোনালিদের। সন্ধ্যা নাগাদ জেল থেকে ছাড়া পেয়েছে তাঁরা।পরিবার ও আইনজীবীদের দাবি, সোনালিরা ভারতের নাগরিক; জন্ম শংসাপত্র, ঠিকানার প্রমাণ – সব নথিই তাঁদের কাছে রয়েছে। ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সোনালির বাবা ভদু শেখ সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেন। সোমবার প্রধান বিচারপতি সূর্য কান্ত ও বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর বেঞ্চ স্পষ্ট জানায় – মানবিকতার খাতিরে দেশে ফেরার অনুমতি দিতে হবে।
এর আগেই ২৬ সেপ্টেম্বর কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, চার সপ্তাহের মধ্যে সোনালিসহ ছ’জনকে ভারতে ফেরাতে হবে। ডেডলাইন ঘনিয়ে এলেও কেন্দ্র ২২ অক্টোবর ওই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যায়। তবে শীর্ষ আদালত আগের শুনানিতেই মন্তব্য করেছিল যে বক্তব্য না শুনেই তাদের পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁদের ভারতীয় নাগরিকত্বের প্রমাণ ছিল।এই মামলায় সোনালিদের পরিবারকে আইনি সহায়তা দিচ্ছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সামিরুল ইসলাম। দুই দেশের আদালতের রায়কে তিনি দেখছেন বড় সাফল্য হিসেবে।
Hindustan TV Bangla Bengali News Portal