প্রসেনজিৎ ধর, হুগলি:-‘পাড়ায় সমাধান’ কর্মসূচিতে মানভঞ্জন। তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদারকে পা ছুঁয়ে প্রণাম করলেন দলের কাউন্সিলর নির্মল চক্রবর্তী। কাউন্সিলরের মাথায় হাত রাখলেন বিধায়ক,ঘটনা হুগলির চুঁচূড়ায়।চুঁচুড়া পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বটতলায়। শুক্রবার থেকে শুরু হল এই ক্যাম্প। উপস্থিত ছিলেন, চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার, চুঁচুড়া পুরসভার পূর্ত দফতরের পারিষদ সৌমিত্র ঘোষ, আট নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নির্মল চক্রবর্তী। বিধায়ক জানান,মুখ্যমন্ত্রী পাড়ায় সমাধানের জন্য প্রতি বুথে ১০ লক্ষ টাকা করে দিয়েছেন। সেই টাকায় রাস্তা নিকাশী অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কাজ হবে। চুঁচুড়া পুরসভার তিরিশটি ওয়ার্ডে মোট তেরোশো কাজ নির্দিষ্ট করা হয়েছে। আগামী তিন মাসের মধ্যে সব কাজ শেষ করতে হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নির্মল চক্রবর্তীকে এসআইআরের কাজ নিয়ে বকাঝকা করেন বিধায়ক। সেই রাগে কাউন্সিলর পদ থেকে পদত্যাগ করেছিলেন নির্মল। যদিও, পরে নিজের পদত্যাগ পত্র প্রত্যাহার করে নেন নির্মল। কিছুদিন আগে, চুঁচুড়ার বালিকা বাণীমন্দির স্কুলের মাঠ, ক্লাস রুম তৈরি করা নিয়ে সাংসদ ও বিধায়কের দ্বন্দ্ব সামনে আসে। চুঁচুড়ার শাসক দলে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নতুন নয়। এখনও নতুন চেয়ারম্যান শপথ নেননি চুঁচুড়া পুরসভায়।সামনে বিধানসভা নির্বাচন এমন সময় নির্মলের পদত্যাগে অস্বস্তি তৈরী হয়। তাই পরিস্থিতি হাতের বাইরে যাওয়ার আগেই পাড়ায় সমাধানে গিয়ে নিজেদের সম্পর্কের সমাধান করলেন বিধায়ক। মাথায় হাত দিয়ে কাউন্সিলরকে আশির্বাদ করলেন। বিধায়ক অসিত কাউন্সিলের প্রসঙ্গে বলেন, ‘কাজ না করলে বকবোই। নির্মলের সঙ্গে কোনও সমস্যা নেই। নির্মল আমার অত্যন্ত স্নেহের। ওকে বকার যেমন অধিকার আছে, ভালবাসার অধিকার আছে। এসআইআরের কাজে এখানে কিছুটা পিছিয়ে ছিলাম সেটা নিয়ে আমি বলেছিলাম তাই ওর হয়তো মনে লেগেছিল।’ শুক্রবার থেকে চুঁচুড়া পুরসভার আট নম্বর ওয়ার্ডের বটতলায় শুরু হয়ে গেল ‘পাড়ায় সমাধান’। এই কর্মসূচিতে আশি হাজার টাকা খরচ করে এলাকায় নিকাশি ব্যবস্থার সংস্কার করা হবে। সময়সীমা তিন মাস। সেই অনুষ্ঠানেই বিধায়ক অসিত মজুমদারকে পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করতে দেখা গেলে কাউন্সিলর নির্মল চক্রবর্তীকে।
Hindustan TV Bangla Bengali News Portal