প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- সংসদে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মন্তব্য ঘিরে ফের রাজনৈতিক বিতর্ক জোরালো হয়েছে। বাংলার নবজাগরণের অন্যতম প্রধান কান্ডারি বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়কে লোকসভায় দাঁড়িয়ে ‘বঙ্কিমদা’ সম্বোধন করায় ‘বাঙালি বিদ্বেষ’ ইস্যুতে বিজেপিকে তুলোধোনা তৃণমূলের। মোদীর এই মন্তব্যের তীব্র আপত্তি জানানো হয়েছে তৃণমূলের তরফে।সোমবার সংসদে ‘বন্দে মাতরম’ আলোচনায় গানের রচয়িতা বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়কে ‘বঙ্কিমদা’ বলে সম্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই নিয়ে তীব্র আপত্তি জানায় তৃণমূল কংগ্রেস। আপত্তির জেরে, ভাষণের মাঝেই ভুল শুধরে শেষে ‘বন্দে মাতরম’-এর স্রষ্টাকে ‘বঙ্কিম বাবু’ বলে সম্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। মোদীর এহেন বক্তব্যের পর সোমবারই সংসদের বাইরে এবং ভিতরে গর্জে ওঠে তৃণমূল। সমাজমাধ্যমেও এই বিষয়ে প্রতিবাদ জানিয়ে সরব হয় শাসকদল। মঙ্গলবারও মোদীর মন্তব্যের প্রতিবাদ জানান তৃণমূল সাংসদরা। বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছবি হাতে এদিন সংসদের বাইরে প্রতিবাদ করতে দেখা যায় তাঁদের।প্রসঙ্গত, ‘বন্দে মাতরম’ ইস্যুতে সরগরম জাতীয় রাজনীতি। এবার এই ইস্যুতে নাম না করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে তীব্র আক্রমণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কোচবিহার শহরের রাসমেলা ময়দানে রাজনৈতিক জনসভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়কে বললেন বঙ্কিমদা। যেন মনে হচ্ছে শ্যামদা, হরিদা। বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় যিনি জাতীয় গান রচনা করেছিলেন, তাঁকে এই টুকু সম্মান দিলে না! আপনাদের তো মাথা নিচু করে নাকখত দেওয়া উচিত জনগণের কাছে। তাতেও ক্ষমা হবে না। দেশের সংস্কৃতি, ইতিহাসকে অসম্মান করেছেন।’ তার পরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘রাজা রামমোহন রায়কে বললেন তিনি দেশপ্রেমী নন। ক্ষুদিরাম বসুকে সন্ত্রাসবাদী বললেন। বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙলেন।’ প্রসঙ্গত, এসআইআর আবহে মানুষের পাশে থাকতে ফের জেলাসফরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই সফরে সোমবারই দুপুরে কোচবিহার পৌঁছন তিনি। প্রশাসনিক বৈঠকের পর আজ মঙ্গলবার রাশমেলার মাঠে জনসভায় বক্তব্য রাখেন তৃণমূল সুপ্রিমো। আর সেই সভা থেকে একাধিক ইস্যুতে সরব হন মুখ্যমন্ত্রী।
Hindustan TV Bangla Bengali News Portal