দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- রাজ্য জুড়ে স্কুলপড়ুয়াদের যাতায়াতের জন্য টোটো, ম্যাজিক গাড়ি, ম্যাক্সি ক্যাব থেকে শুরু করে পুরোনো ওমনি ভ্যান—বহু যানই নিয়ম ভেঙে ব্যবহার করা হচ্ছে পুলকার হিসেবে। কোথাও আবার রাস্তায় চলার অনুপযোগী, কাগজপত্রবিহীন ‘কাটাইয়ে যাওয়া’ গাড়িও নামছে রাস্তায়। ক্রমবর্ধমান এই অনিয়মে প্রশ্নের মুখে পড়ছিল শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা। এবার সেই পরিস্থিতিতে কঠোর অবস্থান নিল রাজ্যের পরিবহণ দফতর।পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তীর উপস্থিতিতে পুলিশ, স্কুলশিক্ষা এবং পরিবহণ দফতরের আধিকারিকদের মধ্যে একটি বৈঠক হয়। ছিলেন প্রত্যেক জেলার পুলিশ সুপার, আরটিও-রাও। সেখানেই পুলকার সংগঠনগুলোকে জানানো হয়েছে, বিভিন্ন জায়গায় ব্যক্তিগত গাড়িতেই স্কুলে পড়ুয়া আনা-নেওয়া করা হচ্ছে। তবে বহুক্ষেত্রেই দেখা যায়, সেই গাড়িগুলো রাস্তায় চলার অযোগ্য। সিএফ ফেল, ইনস্যুরেন্স ফেল। তাই আগামীদিনে পড়ুয়া বহনকারী সমস্ত গাড়িকেই প্রতিবছর সিএফ করানোর কথা ভাবছে পরিবহণ দফতর। পরিবহণমন্ত্রীর স্পষ্ট বক্তব্য, “লজঝড়ে গাড়িতে পড়ুয়াদের বহন করা যাবে না।” স্কুলবাস ও পুলকার উভয়ের ক্ষেত্রেই একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে,প্রতি বছর গাড়ির সিএফ বাধ্যতামূলক|
সঠিক কাগজপত্র, ফিটনেস ও ইনস্যুরেন্স থাকতে হবে|গাড়িতে অ্যাটেন্ডেন্ট রাখা আবশ্যক | সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে নির্দিষ্ট রং, ‘অন স্কুল ডিউটি’ বোর্ড, অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র, ভিএলটিডি ইত্যাদি লাগানো বাধ্যতামূলক |
পাশাপাশি, অভিভাবকদেরও সচেতন হতে বলা হয়েছে, গাড়ির কাগজপত্র, চালকের নাম, ফোন নম্বর, লাইসেন্স সব যাচাই করে নিতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। স্কুল কর্তৃপক্ষকে গাড়ির নির্দিষ্ট তালিকা রাখা, পরিবহণ ব্যবস্থাপনায় দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক নিয়োগ এবং ছাত্রছাত্রীদের ট্রাফিক আইন সম্পর্কে শিক্ষাদানের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। পুলকার ওনার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সুদীপ দত্ত বলেন, “আমরা সমস্ত নিয়ম মেনেই গাড়ি চালাই, প্রশাসনের উচিত বেআইনি পুলকার বন্ধ করা।” এদিন টোটো সংক্রান্ত বিষয়েও আলোচনা হয় এবং প্রতিটি জেলাকে টোটো রেজিস্ট্রেশন বৃদ্ধিতে উদ্যোগী হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
Hindustan TV Bangla Bengali News Portal