প্রসেনজিৎ ধর :- আর্থিক দুর্নীতির কারণে দিল্লি থেকে ইডি -র হাতে গ্রেফতার তৃণমূলের প্রাক্তণ রাজ্যসভার সাংসদ কে.ডি সিং | আর কে.ডি.সিং গ্রেফতার হতেই বিস্ফোরক দাবি তৃণমূলের মুখপাত্র কুনাল ঘোষের | তিনি বলেন কে.ডি.সিং কে গ্রেফতার করে সিবিআই আসল অপরাধী দের আড়াল করার চেষ্টা করছে | তাঁর আরও দাবি,কে.ডি.সিংকে কে চিনতো?মুকুল রায় কে.ডি.সিং কে চিনিয়েছে | সবার আগে মুকুল রায় কে গ্রেফতার করতে হবে ” | এমনকি কে.ডি.সিং এবং মুকুল রায়কে গ্রেফতার করে একই গড়াদে রাখার দাবিও জানান তিনি | যদিও কুনাল ঘোষ বলেন মূল তৃণমূল,আদি তৃণমূল দূরদূরান্ত পযন্ত কোনো ভাবেই কেডি সিং তৃণমূলের সাথে নেই । কুনাল ঘোষের পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিতে দেরি করেননি বিজেপি | রাজ্যে বিজেপির মুখপাত্র প্রণয় রায় বলেন “কুনাল ঘোষ কে?আর যার নাম করে বলছেন সেই মুকুল রায় তখন তৃণমূলে ছিলেন,তাই যদি কোনো দায় বর্তায় সেটা তৃণমূলের উপর| কারণ তখন তিনি তৃণমূল নেতা ছিলেন | সব থেকে বড়ো কথা রাজ্যের পুলিশ মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উনি যদি কিছু জেনে থাকেন তাহলে কেন ব্যবস্থা নিলেন না? “ভোটের মুখে কে.ডি.সিং গ্রেফতারের ঘটনায় ইতিমধ্যেই তোলপাড় রাজনৈতিক মহল |
এ বিষয়ে তৃণমূল নেতা সৌগত রায়ের মন্তব্য ‘কে.ডি.সিং তৃণমূলের সঙ্গে নেই।’ পাল্টা বিজেপির দাবি, এখন তৃণমূলের সঙ্গে সম্পর্ক না থাকলেও যখন কেডির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল, তখন তাঁর সঙ্গে ঘাসফুল শিবিরের তো দহরম-মহরম ছিল। একইসঙ্গে বহিরাগত ইস্যুতেও খোঁচা দিতে ছাড়েনি বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের বক্তব্য, তৃণমূল তো অমিত শাহ, জে.পি নড্ডাদের বহিরাগত বলে | কেডিকেও তো বাইরে থেকে এনে সাংসদ করা হয়েছিল | বিধানসভা ভোটের মাসকয়েক আগেই তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদের গ্রেফতারির ঘটনায় যথারীতি রাজনীতি শুরু হয়েছে। ২০১৪ সালে তৃণমূলের টিকিটে রাজ্যসভায় গিয়েছিলেন কেডি।