প্রসেনজিৎ ধর :- এবার কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা ছাড়লেন উত্তরবঙ্গের তিন বিজেপি বিধায়ক | তালিকায় রয়েছেন মিহির গোস্বামী, শিখা চট্টোপাধ্যায় ও আনন্দময় বর্মন | কিছুদিন আগেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে রীতিমত চিঠি দিয়ে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা ছাড়ার কথা জানান একুশের বিধানসভা ভোটে বিজেপির হেরে যাওয়া প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়| এবার সে সুরই শোনা গেল আনন্দময় বর্মন,মিহির গোস্বামী ও শিখা চট্টোপাধ্যায়ের গলায় | নাটাবাড়ির বিজেপি বিধায়ক মিহির গোস্বামীও নিজের জন্য নিরাপত্তা রক্ষী নিতে অস্বীকার করেন | ভোটের আগেই শিলিগুড়ির বিধায়ক জানিয়েছিলেন জয়লাভ করলেও নিরাপত্তা ব্যবহার করবেন না তিনি | কারণ, স্কুটিতে ঘোরাফেরা করতেই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন তিনি | এদিকে মাটিগাড়া-নকশালবাড়ির বিধায়ক আনন্দময় বর্মণ ও ডাবগ্রাম ফুলবাড়ির বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, তাঁরা যে এলাকার বিধায়ক সেখানকার অধিকাংশ মানুষই আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া | নিরাপত্তা নিয়ে সেই এলাকায় গেলে বাসিন্দারা তাঁরা সমস্যার কথা জানাতেই ভয় পাবেন|সেই কারণেই নিরাপত্তা ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা | প্রসঙ্গত, মাটিগাড়া-নকশালবাড়ির বিধায়ক আনন্দময় বর্মণ দীর্ঘদিন ধরেই বিজেপিতে রয়েছেন | এর আগেও ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন | তবে এবারই প্রথম জিতেছেন তিনি | শিলিগুড়ির বিধায়ক দীর্ঘ প্রায় ৩০ বছর সিপিএমের সঙ্গেই জড়িত ছিলেন| অশোক ভট্টাচার্যের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিলেন তিনি | একুশের নির্বাচনের আগেই বিজেপিতে যোগ দেন তিনি | অশোক ভট্টাচার্যকে পরাজিত করে শিলিগুড়ি আসনে জয়ী হন তিনি | অন্যদিকে ডাবগ্রাম ফুলবাড়ির বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায় দীর্ঘদিন তৃণমূলে ছিলেন | ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের পর বিজেপিতে যোগ দেন তিনি |
প্রসঙ্গত, এই নিরাপত্তারক্ষীদের রাখতে গেলে তার সমস্ত খরচ নিজেকেই বহন করতে হয় |থাকা-খাওয়া থেকে সমস্ত খরচ ওই নেতাকেই নিতে হয় | এই খরচ যথেষ্ট ব্যয়বহুল | অনেকেই তা করতে পারছেন না বলেই খবর | সে কারণেও অনেকে নিরাপত্তা ছেড়ে দিতে চাইছেন বলে খবর | এই তিন বিধায়কের নিরাপত্তা ছাড়া নিয়ে ইতিমধ্যে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে রাজনৈতিক মহলে|