প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিপক্ষে প্রার্থী দিতে চাননা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী,হাইকমান্ডকে সেই প্রস্তাব দিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি | যদিও এই নিয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত কংগ্রেসের হাইকমান্ড দেয়নি | অধীরের এই প্রস্তাবে নতুন করে রাজনৈতিক জল্পনা শুরু হয়েছে |অধীরবাবু রাজ্য রাজনীতিতে তীব্র মমতা বিরোধী বলেই পরিচিত। সেই তিনি মমতার বিরুদ্ধে প্রার্থী দিতে চান না,এটা শুনলে চমকে যাওয়া ছাড়া আর কিছুই মনে হয় না | পরিস্থিতি যা তাতে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বও এই প্রস্তাবে সায় দিয়ে দিতে পারে|| তবে অধীরের প্রস্তাব মানতে নারাজ বামেরা| তাঁরা ভবানীপুরে প্রার্থী দিতে চায় | আর সেটা বিজেপিকে মমতা বিরোধীতার জমি একক ভাবে ছেড়ে না দেওয়ার জন্যই | অধীরবাবু দিল্লি অর্থাৎ এআইসিসির নেতাদের জানিয়েছেন,”মুখ্যমন্ত্রী নিজে ভোটে দাঁড়িয়েছেন | এই অবস্থায় আমরা যাই ভোট পাই না কেন, আমার মনে হয় আমাদের প্রার্থী দেওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই |” যদিও, এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে এআইসিসি |তাঁর নিজের জেলা মুর্শিদাবাদ যা চিরাচরিত ভাবে কংগ্রেসী দুর্গ হিসাবে পরিচিত সেখানে তৃণমূল শুধু জিতেছে তাই নয়, জেলায় কংগ্রেস কোনও খাতাই খুলতে পারেনি | অথচ অধীরবাবুর নিজের শহর, তাঁর খাস তালুক বহরমপুর সহ মুর্শিদাবাদ আসনেও জয়ী হয়েছে বিজেপি | এমনকি বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল সামনে আসার পরে অনেকেই সরব হয়েছেন এই বলে যে, অধীরবাবুর অতি বড় মমতা বিরোধীতার জেরেই এবারের ভোটে দলের এই হাল হয়েছে, মানুষ কংগ্রেসকে প্রত্যাখান করেছে | তাই অধীরবাবুও এখন বেশ চাপে আছেন |
এক তো তিনি নিজে বেশ ভালই বুঝতে পারছেন, এই অবস্থা চললে তাঁর প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ যেতে বেশিক্ষণ সময় লাগবে না | তাই তিনিও এখন তীব্র মমতা বিরোধীতার পথ থেকে সরে আসতে চাইছেন | তিনি নিজে এটাও বুঝেছেন তৃণমূল পাশে না থাকলে ২০২৪ এর ভোট বৈতরনী পার হওয়া তাঁর পক্ষে সম্ভব নয় | আর যেহেতু বিধানসভায় এখন কংগ্রেসের বা বামেদের কোনও বিধায়ক নেই তাই তাঁর পক্ষে রাজ্যসভায় যাওয়াও সম্ভব নয় |