নিজস্ব সংবাদদাতা, উত্তর ২৪ পরগণা :- বিগত দু’ তিনদিন ধরে পরিবারের সদস্যদের দেখা পাননি প্রতিবেশীরা | এরপরই বাড়ি থেকে হঠাৎই দুর্গন্ধ বের হতে থাকে | স্থানীয় বাসিন্দারাই পুলিশে খবর দিলে পুলিশ গিয়ে বাড়ির দরজা ভেঙে গৃহকর্তার ঝুলন্ত দেহ এবং স্ত্রী ও পুত্রের দেহ উদ্ধার করে | সোদপুর স্টেশন সংলগ্ন বসাক বাগান এলাকার ঘটনা | উদ্ধার হয় একটি সুইসাইড নোটও | অনুমান, দেনার দায়ে আত্মঘাতী হয়েছেন পরিবারের তিনজনই | শুক্রবার সকালে গুহ বাড়ি থেকে বিকট গন্ধ পান প্রতিবেশীরা | হঠাৎই দুর্গন্ধ পাওয়ায় সন্দেহ হয় পাড়া প্রতিবেশীদের | তাঁরাই খড়দহ থানায় বিষয়টি জানালে পুলিশ এসে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে দেখে তিনজনই মৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন |
দেখেন গৃহকর্তার ঝুলন্ত দেহ | সেই সঙ্গে পাশেই পড়ে থাকতে স্ত্রী ও ছেলের নিথর দেহও | পুলিশ সূত্রে খবর মৃত ব্যক্তির নাম সমীর কুমার গুহ, তিনি পোশাক ব্যবসায়ী ছিলেন | বসাক বাগানের নিজস্ব বাড়িতে স্ত্রী ঝুমা গুহ ও ছেলে বাবাইকে নিয়েই থাকতেন তিনি |স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছর লকডাউনের সময় থেকেই সমীরবাবুর ব্যবসায় মন্দা শুরু হয়|এরপর থেকেই তিনি মানসিকভাবে হতাশ হয়ে পড়েন| সংসার ও ব্যবসা চালাতে বাজারে প্রচুর ধার দেনাও করে বসেন তিনি|গত কয়েক দিন ধরেই তাঁকে বেশ চুপচাপ লক্ষ্য করেন প্রতিবেশীরা | পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতদেহগুলোর পাশ থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়েছে বলে | সমীরবাবুর এক বন্ধুকে উদ্দেশ্য করে চিঠি লেখা রয়েছে | লেখা রয়েছে, “প্রিয় পার্থ ঘোষ তোকে দায়িত্ব গিয়ে গেলাম ঘরের যে আসবাব পত্র রয়েছে তা বিক্রি করে বকেয়া টাকাগুলো মিটিয়ে দিস |” বেশ কয়েকজন টাকা প্রাপকের নামও লেখা রয়েছে সেখানে| এর থেকেই পুলিশের অনুমান, দেনার দায়েই এই ঘটনা | মৃতদেহগুলি সাগর দত্ত পুলিশ মর্গে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে | ঘটনার তদন্তে নেমেছে খড়দহ থানার পুলিশ| এই ঘটনায় হতবাক প্রতিবেশীরা |