প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- বড়সড় চমক দিলেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় | রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনে ব্যাপক সাফল্যের দলের প্রথম ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে পদোন্নতি হল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের | রাজ্য যুব তৃণমূল সভাপতি থেকে সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক হলেন তিনি | তৃতীয়বার নজির গড়ে বাংলার মসনদে তৃণমূল | আর জয়ের কৃতিত্বের সিংহভাগই ব্র্যান্ড মমতার পাশাপাশি ‘ভাইপো’ অভিষেককেই দেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ থেকে তৃণমূল নেতারা স্বয়ং |
এমনকি যেভাবে দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন তাতে খোদ তাঁর উপর ভরসা বেড়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও | মুকুল রায় এককালে যে পদে আসিন ছিলেন, সেই আসনই পেলেন অভিষেক | এর আগে যুব তৃণমূল সভাপতির পদ ছাড়েন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় | দলের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকেই তিনি পদত্যাপত্র জমা করেন তাঁর বদলে এই পদে নিয়ে আসা হয় অভিনেত্রী সায়নী ঘোষকে | সূত্রের খবর, ‘এক ব্যক্তি, এক পদ’ নীতি মেনেই এই ইস্তফা ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখেই অভিষেককে দলের বড়সড় দায়িত্ব দেওয়া হল | এই সিদ্ধান্তের পরেই তৃণমূলে বিশেষ করে অভিষেক অনুগামীদের মধ্যে খুশির হাওয়া | একুশের নির্বাচনী প্রচার থেকেই ফ্রন্ট লাইনে দেখা গিয়েছে অভিষেককে | দলীয় কর্মীদের চাঙ্গা করতে, প্রার্থীদের হয়ে প্রচারে কোনও ঘাটতি রাখেননি তিনি | অথচ নির্বাচনী লড়াইয়ে জিততে কেন্দ্রের নেতা-মন্ত্রীরা তাঁকেই বারবার নিশানা করেছেন | ‘তোলাবাজ ভাইপো’ বলে তোপ দেগেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা, প্রত্যেকেই | রাজনৈতিক মহলের একাংশ দাবি করেছিল, কেন্দ্রীয় নেতা-মন্ত্রীদের মুখে বারবার অভিষেকের নামই যেন স্পষ্ট করে দিয়েছিল তৃণমূলের তরুণ নেতার উত্থান | জননেতা হতে চাইছেন অভিষেক | আর সেই লক্ষ্যেই ইয়াসের পরেই মানুষের কাছে পৌঁছে যান ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ | ২০২১-এর নির্বাচনে মোদীর বিজয় রথকে রুখে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় |এরপর প্রতীক্ষিত ২০২৪-এর লোকসভা ভোট| যেখানে মোদির বিরুদ্ধে বিরোধীদের জোটের মুখ হিসেবে মমতাকেই তুলে ধরতে চায় দেশের বহু রাজনৈতিক দল| এ হেন রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগামিদিনে জাতীয় রাজনীতিতে ব্যস্ত হলে সংগঠন এবং বাংলার হাল ধরবার জন্য ভরসাযোগ্য মুখ দরকার | এ ক্ষেত্রে অভিষেকের বিকল্প নেই বলেই মানছে তৃণমূল শিবির |