নিজস্ব সংবাদদাতা :- কলকাতায় এটিএম প্রতারণাকাণ্ডে ৪ জনকে গ্রেফতার করল কলকাতা পুলিশের সাইবার অপরাধ শাখা | ধৃতদের মধ্যে ২ জনকে কলকাতা ও ২ জনকে গুজরাত থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে | সিসিটিভির সূত্র ধরে এদের খোঁজ মেলে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা | তবে কীভাবে এরা প্রতারণা করত তা এখনও স্পষ্ট করতে পারেনি পুলিশ |কলকাতা পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে,এটিএম জালিয়াতিকাণ্ডে কলকাতা থেকে বিশ্বদীপ রাউত ও সইফুল মণ্ডল নামে ২ জনকে প্রথমে গ্রেফতার করে পুলিশ| বিশ্বদীপ রাউতের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে কিছুদিন ধরে অস্বাভাবিক হারে টাকা ঢুকছিল তাঁদের জেরা করে গুজরাতে মনোজ গুপ্তা(৪০) ও নবীন গুপ্তা(৩০) নামে ২ জনের সন্ধান পায় পুলিশ | তাঁদের গ্রেফতার করে ট্রানজিট রিমান্ডে কলকাতা আনা হচ্ছে | তবে পুলিশের সন্দেহ এরা বিরাট একটি চক্রেরই অংশ, যার জাল ছড়িয়ে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে | তাই এই চারজনকে জেরা করলে বাকিদেরও হদিশ মিলবে | আপাতত তাই বাকি অভিযুক্তদের খোঁজেও তদন্ত শুরু হয়েছে | প্রসঙ্গত, গত মাসেই নতুন করে এটিএম জালিয়াতির ঘটনা সামনে এসেছিল | এটিএম মেশিন অটুট,অথচ এটিএম যন্ত্রের ভিতর থেকে রহস্যজনকভাবে কয়েক কোটি টাকা উধাও | সম্প্রতি কাশীপুর, নিউমার্কেট, যাদবপুর-সহ কয়েকটি এলাকায় ব্যাঙ্কের এটিএম থেকে এভাবেই টাকা গায়েবের ঘটনা ঘটেছিল | যারপরই তদন্তে নামে পুলিশ | তখনই গোয়েন্দাদের হাতে আসে চমকপ্রদ নানান তথ্য | জানা যায়, গোটা ঘটনার পিছনেই ছিল উন্নততর প্রযুক্তি | একধরনের গ্যাজেটের সাহায্যেই এটিএম মেশিন না ভেঙেই লক্ষ লক্ষ টাকা বের করে নিয়েছে জালিয়াতরা | এরপরই পুলিশ জানতে পারে, জালিয়াতরা ভিন রাজ্যের | তবে শহরেও বেশ কিছু ব্যক্তি তাদের হয়ে কাজ করে | এরপর দিল্লি-সহ ভিনরাজ্যের একাধিক জায়গায় যান গোয়েন্দারা | ধৃতরা কী করে প্রতারণা করল তা জানতে এখনো তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ | প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, এটিএম খুলে তাতে কোনও যন্ত্র বসিয়ে টাকা বার করে নেয় তারা | চুরির সময় ব্যাঙ্কের সঙ্গে লিঙ্ক ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে এটিএম-এর | এটিএম থেকে টাকা চুরি হলেও কোনও গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা যাচ্ছে না |