নিজস্ব সংবাদদাতা,কোচবিহার :- নজরে কোচবিহারের শীতলকুচি | গত ১০ এপ্রিল ভোটগ্রহণের দিন গুলি চালাবার যে ঘটনা ঘটেছিল সেই ১২৬ নম্বর বুথে সোমবার পৌঁছে গিয়েছে সিআইডির ফরেন্সিক ও ব্যালেস্টিক টিম | এদিন তাঁরা সেখান থেকে নমুনা সংগ্রহ করছেন | ৩ সদস্যের এই টিম ওই বুথের দেওয়ালে গেঁথে থাকা বুলেটের আকার নিয়ে বিশ্লেষণ করবেন | ইতিমধ্যেই সিআইডি তদন্তে উঠে এসেছে যে, ভোটের দিন গুলি চালানো হয়েছিল বুথের দিকে তাক করেই | তার জেরেই দরজা ভেদ করে ভিতরে ঢুকে যায় গুলি| তা গিয়ে লাগে ব্ল্যাকবোর্ডের গায়ে | অথচ সেদিন ঝামেলে হয়েছিল বুথের বাইরে আর এখানেই প্রশ্ন উঠেছে যে, বুথের নিরাপত্তায় থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা, বুথের ভেতরের দিকে তাক করে গুলি চালিয়েছিলেন কেন?ঘটনার দিন গ্রামবাসীরা অভিযোগ করেছিলেন, সিআইএসএফের গুলিতে চার গ্রামবাসীর মৃত্যু হয়েছে| ঘটনার দিনের ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানা যায়, তিন জনের বুলেট ইনজুয়েরি ও আরেক জনের স্প্লিন্টার ইনজুয়েরিতে মৃত্যু হয়েছে | এখানেই রহস্য | অর্থাৎ সিআইএসএফ বাহিনীর জওয়ানরা যদি গুলি চালিয়ে থাকেন তাহলে যারা মারা গিয়েছেন তাদের সককেরই বুলেট ইনজুয়েরি থাকতো | স্প্লিন্টার ইনজুয়েরি থাকত না | তাই প্রশ্ন বুথের ভেতরে স্প্লিন্টার কীভাবে এল? এই বিষয়টিও এদিন খতিয়ে দেখবেন ব্যালেস্টিক এক্সপার্টরা | ঘটনার পর প্রকাশ্যে ঘটনাস্থলের কিছু ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসছে | যদিও তা আংশিক ছিল | গোটা বিষয়টি একবার ইতিমধ্যেই পুনর্নির্মাণ করেছে সিআইডি| এদিন তা আরও একবার করা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে | সিআইডি সূত্রে খবর, তদন্তে নেমে তাঁদের বিশেষ বাহিনী ১২৬ নম্বর বুথের বাইরে থেকে বুথের ভিতর দিকে গুলি ছোঁড়ার প্রমাণ পেয়েছে | বুথের ভিতরে থাকা ব্ল্যাকবোর্ডে আটকে থাকা গুলিও পেয়েছে | এদিন ব্যালেস্টিক টিম নমুনা সংগ্রহ খতিয়ে দেখবে কী ধরনের গুলি সেটি? কী ধরনের আগ্নেয়অস্ত্র থেকে সেই গুলি চলেছিল? দরজার ফাঁক দিয়ে কীভাবে লেগেছে গুলি? কোন দিক থেকে এসেছে গুলি? গুলির গতি কত ছিল যে তা ব্ল্যাক বোর্ড ভেদ করে গিয়েছিল? বুথের বাইরে গন্ডগোল হলেও কেন বুথের ভিতরে দিকে গুলি ছুড়তে হল, সেই বিষয়েও খতিয়ে দেখবেন তাঁরা|