প্রসেনজিৎ ধর, হুগলি :- নির্বাচনের মুখে তৃণমূল শিবিরে দেখা গিয়েছিল একের পর এক নেতা-নেত্রীদের বেসুরো হতে | কিন্তু ভোট মিটতেই বদলে গেল চেহারাও | এবার বেসুরোর সংখ্যা মাথাচাড়া দিচ্ছে গেরুয়া শিবিরে| ওই তালিকা থেকে বাদ পড়লেন না রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ও | বুধবার সেই সমস্ত বেসুরো নেতা-নেত্রীদের উদ্দেশে হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের মন্তব্য,’তাড়াতাড়ি বিদায় নিন|’সিঙ্গুরের নসিবপুরে বজ্রাঘাতে মৃত সুস্মিতা কোলের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে এসে মন্তব্য বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের| বিধানসভা নির্বাচনে গেরুয়া শিবিরের পরাজয়ের পর থেকেই দলের একাধিক নেতৃত্ব যে ‘বেসুরো’ হয়ে উঠছে | সোনালি গুহ, সরলা মুর্মুদের পদ্মত্যাগের পর এ বার বেশ কিছু হেভিওয়েট নেতৃত্বও ‘বেসুরো’ হতে শুরু করেছেন | তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া রাজীব বন্দোপাধ্যায় সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন, ‘মানুষের বিপুল জনসমর্থন নিয়ে আসা নির্বাচিত সরকারের সমালোচনা ও মুখ্যমন্ত্রীর বিরোধিতা করতে গিয়ে কথায় কথায় দিল্লি আর ৩৫৬ ধারার জুজু দেখালে বাংলার মানুষ ভাল চোখে দেখবে না|’ আর রাজীবের এই মন্তব্যের জেরে কার্যত তাঁর দলবদলের জল্পনা ফের প্রবল হয়ে উঠেছে শুধু তাই নয়, বেসুরো হয়েছেন প্রবীর ঘোষালও | বর্ষীয়ান নেতা জটু লাহিড়িও দলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়িয়েছেন | অন্যদিকে, রাজ্য বিজেপির বৈঠকে হিন্দিভাষী নেতাদের দাপট নিয়ে সমালোচনার সুর ঘনিয়েছে সব্যসাচী দত্তের গলাতেও | কার্যত, রাজ্য বিজেপির অন্দরের অন্তর্দ্বন্দ্ব ক্রমশই প্রকাশ্যে বেরিয়ে আসছে | এই পরিস্থিতিতে তাদের নিশানা করে লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘যাঁরা যাঁরা বেসুরো গাইছেন, তাঁরা তাড়াতাড়ি বিদায় নিন | আমরা আগে থেকেই টের পাচ্ছিলাম | কোনও স্বার্থ নিয়ে এ দলে এসেছিলেন, স্বার্থ ফুরিয়েছে তাই বেরিয়ে যেতে চাইছেন | বিদায় হন | আমরা নতুন উদ্যমে কাজ শুরু করব| আমাদের ২ কোটি ২৮ লক্ষ মানুষ ভোট দিয়েছেন। পশ্চিমবঙ্গের ৩৭ শতাংশ মানুষ আমাদের পাশে আছেন |’ গত ৭জুন বজ্রাঘাতে মৃত্যু সিঙ্গুরের নসিবপুর গ্রামের বাসিন্দা সুস্মিতা কোলের বাড়ি যান এদিন লকেট চট্টোপাধ্যায় | মৃত সুস্মিতা কোলের মেয়ে ও স্বামীর সঙ্গে দেখা করে জানান, কেন্দ্রীয় সরকার থেকে বরাদ্দ ২ লক্ষ টাকার ক্ষতিপূরণ অতি দ্রুত যাতে পৌঁছে দেওয়া যায় তার ব্যবস্থা করবেন |