প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- শুভেন্দু অধিকারীকে পাশে নিয়ে সোমবার আবারও রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সরব হলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়| ভোট পরবর্তী হিংসা ছাড়াও দলত্যাগ বিরোধী আইন প্রসঙ্গে এ দিন হুঁশিয়ারি দিতে শোনা যায় রাজ্যপালকে | তিনি মনে করিয়ে দেন, বাকি রাজ্যের মতো এ রাজ্যেও দলত্যাগ বিরোধী আইন বলবৎ রয়েছে| রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে সোমবার রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার কথা জানিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী | কথা মতো সোমবার বিকেলে চারটে নাগাদ বিধানসভা থেকে পায়ে হেঁটে রাজ ভবনে যায় বিজেপির প্রতিনিধি মণ্ডল | সেখানে গিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে চা-চক্রে যোগ দেন তাঁরা | বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী-সহ মোট ৫১ জন বিধায়ক এ দিন রাজভবনে যান | যদিও বিজেপিতে থাকা বাকি ২৩ জন বিধায়ক গেলেন না কেন, সেই নিয়ে এখন থেকেই জল্পনার জাল বোনা শুরু হয়েছে | বর্তমানে রাজ্যে আইন শৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে এবং বিরোধীদলের কর্মী-সমর্থকদের উপর অমানবিয় অত্যাচার হচ্ছে, সেই কথা আবারও রাজ্যপালের কানে তুলে ধরেন শুভেন্দুরা | বিজেপির প্রতিনিধি মণ্ডলের সঙ্গে সাক্ষাতের পর তাঁদের নিয়েই সাংবাদিক বৈঠক করেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় | আর সেখান থেকেই তিনি আবারও রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করেন | রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় সাংবাদিকদের সামনে বলেন, রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসায় যেসব জায়গায় অত্যাচার চলেছে, মুখ্যমন্ত্রী সেখানে কেন যাননি? তিনি রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করে বলেন, ‘রাজ্যে গণতন্ত্র নিঃশ্বাস নিতে পারছে না|”
অন্যদিকে আগামিকালের মধ্যে মুকুল রায় যদি বিধায়ক পদ না ছাড়েন, সেক্ষেত্রে দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকর করার জন্য বিধানসভার স্পিকারের কাছে আবেদন জানানো হবে বলে জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা |ভোট পরবর্তী হিংসার প্রসঙ্গও ফের আজ উঠে এসেছে শুভেন্দু অধিকারীর কণ্ঠে | তিনি বলেন, “আমরা ভেবেছিলাম শাসকদল ২১৩ আসন জিতে আসার পর অশান্তি বন্ধ হবে | কিন্তু এরপরও আমরা চন্দননগর এবং তিলজলার মতো ঘটনা দেখলাম |” পশ্চিমবঙ্গে নারীসুরক্ষাও বিপন্ন বলে এ দিন দাবি তুলেছেন তিনি | শুভেন্দুর অভিযোগ, ভোট মেটার পর থেকে রাজ্যে একাধিক ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে| কিন্তু রাজ্য সরকার কোনও পদক্ষেপই করছে না বলে এ দিন দাবি করেছেন শুভেন্দু |