অভিষেক সাহা মালদহ :- তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত পঞ্চায়েতের প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনা হয়েছিল | তা নিয়ে মঙ্গলবার ১২ জনের বয়ান রেকর্ড করার কথা ছিল|তার আগেই বিডিও অফিসের চত্বর থেকে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে ১১ জনকে অপহরণ করার অভিযোগ উঠল মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরে | দুর্নীতির অভিযোগ তুলে গত ২৯ মে তৃণমূল পরিচালিত হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লকের দৌলতনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছিলেন রাজ্যের শাসক দলেরই ১২ জন সদস্য|২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে সেখানে ১৮ টি আসনে জিতেছিল তৃণমূল | বাকি দুটি আসন গিয়েছিল বিজেপির ঝুলিতে | কিন্তু বিডিও সভা না ডাকায় ওই নেতারা কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন | হাইকোর্ট নির্দেশ দেয়, নির্দিষ্ট সময়সীমা পেরিয়ে গিয়েছে | তাই নতুন করে অনাস্থা প্রস্তাব আনতে হবে | অনাস্থা প্রস্তাব আনা হলে দ্রুত উপযুক্ত ব্যবস্থার নেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে | তারপর সোমবার আবারও অনাস্থা প্রস্তাব আনেন ওই ১২ জন নেতা | মঙ্গলবার, ওই ১২ জন সদস্যের স্বাক্ষর যাচাইয়ের জন্য ব্লক অফিসে ডাকা হয় | সেখানে তাঁরা এসে উপস্থিত হলে আচমকাই ব্লক অফিসে পঞ্চায়েত প্রধান নজিবুর রহমানের অনুগামীরা ঢুকে পড়ে হামলা চালায় বলে অভিযোগ | শুধু তাই নয়, অফিসে ভাঙচুর চালানোর পর উপস্থিত ১১ জন পঞ্চায়েত সদস্যকে বেধড়ক মারধর করার পর জোর করে টেনে গাড়িতে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় বলে অভিযোগ | অপহৃতদের মধ্যে একজন মহিলা সদস্যাও ছিলেন | এই ঘটনা ঘটানোর অভিযোগ উঠেছে পঞ্চায়েত প্রধান নজিবুর রহমান ও হরিশ্চন্দ্রপুর-২ ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আশরাফুল হক ও তাঁদের দলবলের বিরুদ্ধে | ঘটনার জেরে বিক্ষুব্ধ তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা পায়খানা মোড়ে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করলে এলাকা উত্তপ্ত হয়ে ওঠে |
ঘটনার জেরে পুলিশ ওই এলাকায় গেলে তাঁদের গাড়ি আটকে বিক্ষোভ দেখায় ক্ষুব্ধ তৃণমূলকর্মীরা | এমনকি এই ঘটনায় পুলিশের সামনে চলে দুই পক্ষের বিরোধ | তার জেরে পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের ধস্তাধস্তিও শুরু হয়ে যায় | পরে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি সঞ্জয় কুমার দাসের নেতৃত্বে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য বিশাল পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছান | পুরো বিষয়টি নিয়ে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে জেলার রাজনৈতিক মহলে |